বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাটকাঠিতে লাভবান কৃষক

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:৪৮

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তির কল্যাণে পাটকাঠির আর্থিক উপযোগিতা বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড ও চারকোল কারখানায় রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।

রাজবাড়ীর পাটের সুনাম দীর্ঘদিনের। দাম ভালো পাওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে পাটের আবাদ, সোনালি আঁশের পাশাপাশি পাটকাঠি বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।

এক সময় ঘরের ছাউনি,বাড়ির চারপাশে বেড়া,পানের বরজ এমনকি রান্নার কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হতো পাটকাঠি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর আর্থিক উপযোগিতা বেড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন পার্টিকেল বোর্ড ও চারকোল কারখানায় পাটকাঠির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে । জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, গ্রামীণ সড়কের পাশে পাটকাঠি শুকানোর কাজ চলছে। অনেকেই বাড়ির পাশে উঁচু মাচা বানিয়ে গাদা করে রাখছে পাটকাঠি।

সদর উপজেলার রামকান্তপুরের কৃষক আবু বক্কার শেখ বলেন, ‘আগে পাটখড়ি (পাটকাঠি) ঘরের বেড়া, পানের বরজের ছাউনি আর রান্নার সময় পোড়ানো ছাড়া কোনো কাজে লাগত না। এখন পাটের পাশাপাশি পাটকাঠিও বিক্রি করতে পারছি। দামও ভালো। ভেজা পাটকাঠি প্রতি এক শ আঁটি বিক্রি হয় তিন শ-চার শ টাকায়। আর শুকনোটা বিক্রি করতে পারি পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকায়।‘

আরেক কৃষক সালাম মোল্লা বলেন, ‘পাটের আঁশের চেয়ে পাটকাঠি বিক্রি করেই আমাদের ভালো টাকা আসে।‘পাটকাঠি বিশেষ চুল্লিতে পুড়িয়ে তৈরি কার্বন বা চারকোল চীনসহ কয়েকটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। কার্বন পেপার, ফটোকপির কালি, আতশবাজি, ফেসওয়াশ, প্রসাধনী পণ্য, মোবাইলের ব্যাটারি, দাঁত মাজার ওষুধ, খেতের সারসহ নানা পণ্য তৈরিতে ব্যবহার হয় এই কার্বন।রাজবাড়ীর উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহান হোসেন জানান, উন্নত মানের কারণে এ জেলার পাটকাঠি দেশের বিভিন্ন জায়গার কারখানায় যাচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক।

এ বিভাগের আরো খবর