মাদারীপুরের শিবচরে ‘মোবাইলে লুডু খেলা’কে কেন্দ্র করে এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা হয়েছে।
শিবচর থানায় বুধবার সকালে মামলা করেন শিশুটির বাবা।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন। তিনি বলেন, এ মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মৃত আট বছর বয়সী রতন মোল্লার বাড়ি উপজেলার চরকান্দি এলাকায়। যাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে নাম মেহেদী হাসান। ১৮ বছরের এই তরুণ শিবচর থেকে চরকান্দি এলাকায় নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
উপজেলার পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক এলাকা থেকে মঙ্গলবার রতনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মঙ্গলবার সকালে রতন ও সোহানের সঙ্গে মোবাইলে লুডু খেলছিলেন মেহেদী। খেলার এক পর্যায়ে মেহেদীকে গালমন্দ করে দুই শিশু। এতে ক্ষিপ্ত হন মেহেদী। করে হত্যার পরিকল্পনা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ওই দিন বিকেলে রেস্টুরেন্টে খাওয়ানোর কথা বলে দুই শিশুকে পদ্মা সেতু সংলগ্ন সংযোগ রাস্তার পাশে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান মেহেদী। এর পর সোহানকে একশ টাকা দিয়ে দোকান থেকে পানি আর চানাচুর আনতে বলেন। সোহান ফেরার আগেই রতনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মেহেদী তার মরদেহ কাশবনে ফেলে দেন।
প্রায় ২০ মিনিট পর সোহান এসে রতন কোথায় জানতে চাইলে বাড়ি চলে গেছে বলে জানান তিনি। সেখান থেকে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় নিয়ে সোহানকেও শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করেন মেহেদী। এ সময় সোহানের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে মেহেদী নানা বাড়ি ফিরে আসেন।
পরে স্বজনরা তার কাছে রতন ও সোহানের খোঁজ চাইলে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
এরপর দুই শিশুর স্বজনরা শিবচর থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশের একাধিক দল এসে মেহেদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায় রতনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার মধ্যরাতে রতনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় মেহেদীর কাছে একটি ফোন ফোন উদ্ধার করা হয়।
মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মোবাইলে লুডু খেলার সময় ওরা আমার বাবা-মা তুলে গালমন্দ করে। তাই হত্যা করি।’
এ ঘটনায় আহত সোহানের মামা ইউসুফ মাতবর জানান, ‘আমার বোনের একমাত্র ছেলেকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল মেহেদী। এই নির্মম হত্যার কঠোর বিচার চাই।’
সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আসামি হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে তোলা হবে।