বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পরিত্যক্ত মিলনায়তনে অনুষ্ঠান

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:১২

রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তন দেখা যায়, মিলনায়তনটির চারপাশ ঝোপঝাড়ে পূর্ণ। বিভিন্ন জাতি-সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বশীল ভাস্কর্যগুলোতে রং না করায় ময়লা জমেছে। মিলনায়তনের ছাদের সিলিং ভেঙে ঝুলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেই সিলিংয়ে চলছে ফ্যান। বিভিন্ন স্থানে ছাদও খসে পড়ছে।

রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনটি দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি পরিত্যক্ত না ভালো। তবে জরাজীর্ণ সেই ভবনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে নানা অনুষ্ঠান।

অভিযোগ রয়েছে, পরিত্যক্ত ভবনটি এখনও অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেয়া হচ্ছে। তবে সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমার দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনটি ভাড়া দেয়া বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে ভবনটিতে দেখা যায়, মিলনায়তনটির চারপাশ ঝোপঝাড়ে পূর্ণ। বিভিন্ন জাতি-সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বশীল ভাস্কর্যগুলোতে রং না করায় ময়লা জমেছে। মিলনায়তনের ছাদের সিলিং ভেঙে ঝুলে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেই সিলিংয়ে চলছে ফ্যান। বিভিন্ন স্থানে ছাদও খসে পড়ছে। নাজুক অবস্থা শৌচাগারের।

সেই মিলনায়তনের ভেতরেই চলছিল স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান। আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত একজন জানান, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে গত ১০ সেপ্টেম্বর ৪ হাজার ৬০০ টাকায় মিলনায়তনটি ভাড়া দেয় কর্তৃপক্ষ।

যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা বলেন, ‘অডিটোরিয়াম ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা ভাড়া দিইনি। জোর করে অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়ে থাকে।’

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন জাতির বিষয়ে ভিডিও নির্মাণে বড় ভূমিকা রয়েছে রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের। তবে তা খুব একটা দৃশ্যমান নয় বলে মন্তব্য করেন রাঙ্গামাটি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক লতিত সি চাকমা।

তিনি বলেন, ‘ভারতের মিজোরামে চাকমা অটোনোমাস কাউন্সিল (সিএডিসি) যে পরিমাণে ভিডিও নির্মাণে স্পন্সর করে, সে অনুযায়ী রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত নাজুক।’

লতিত চাকমা আরও বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হচ্ছে জনসম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠান। তাদের কাজই হচ্ছে জাতি ও জনস্বার্থ রক্ষা করা। তবে দুর্বল নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতা না থাকলে সেসব রক্ষা কখনও সম্ভব নয়।’

মিলনায়তনের বিষয়ে তিনি জানান, এখানে সবাই অনুষ্ঠান করবে। সেই অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবন পরিত্যক্ত হওয়া দুঃখজনক।

রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনেক দিন হলো সিলিং ঝুলে পড়েছে। যে কেউ এখানে মারা গেলে তারপর কর্তৃপক্ষ এটির ব্যবস্থা নেবে।’

ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রুনেল চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধানুযায়ী এ মাসের শেষের দিকে সচিবের আসার কথা। অডিটোরিয়াম পরিত্যক্ত হওয়ায় হয় সংস্কার করতে হবে, নয়তো একেবারে ভেঙে নতুন করে তুলতে হবে।’

ভাস্কর্যগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বর্ষাকাল চলছে। বর্ষাকাল শেষ হলেই ইনস্টিটিউটের সব ভাস্কর্য রং করা হবে।’

রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের আহ্বায়ক রেমলিয়ানা পাংখোয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অডিটোরিয়ামটি ভেঙে নতুন করে সেখানে অফিস কাম মাল্টিফাংশনাল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ কারণে অডিটোরিয়াম ভবনটি সংস্কার না করে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে সচিব আসার কথা। করোনার কারণে আসতে পারছেন না।’

এ বিভাগের আরো খবর