নবম শ্রেণির ছাত্র ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নিজ পছন্দে পালিয়ে বিয়ে করে। দেড় মাস পর মেয়েপক্ষ বিয়ে মেনে নিলেও নেয়নি ছেলের পরিবার। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘাষিয়ারা গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা। বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে মেয়ের পরিবার, ছেলের পরিবার বাসা স্থানান্তর করেছে।
ছেলের বাবার দাবি, তার ছেলে না বুঝেই এই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পাশের বাড়ির ওই মেয়ে তার ছেলেকে পটিয়ে গত আগস্টে বিয়ে করে। মেয়ের পরিবার বিয়ে মেনে নেয়ায় ৭ সেপ্টেম্বর তারা মেয়ের বাড়িতে ওঠে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি এই বিয়ে মানতে রাজি না হওয়ায় মেয়ের পরিবার আমাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়। ১২ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে মেয়ের চাচা স্থানীয় কিছু লোকসহ আমার বাড়িতে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
‘শুধু আমাকে নয়, তারা আমার ক্লাস সেভেনে পড়া মেয়েকেও বেধড়ক পিটিয়েছে। আমাদের বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। না গেলে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। পরদিনই আমি আমার ভাইদের নিয়ে গিয়ে সাতজনের নামে শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করেছি।’
ছেলের চাচা স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাইকে মারধরের পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে তাদের নিরাপদ দূরত্বে রেখে এসেছি। থানায় অভিযোগের পর মেয়ের বাড়ির লোক মীমাংসা করবে বললেও তারা কথা রাখেনি।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম জানান, তারা মারধরের প্রমাণ পেয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা ১৪ সেপ্টেম্বর থানায় বসতে চান। তবে ছেলের বাবা পরে জানায়, তারা সালিশ করে মীমাংসা করতে চান। থানার হস্তক্ষেপ চান না।
এসআই বলেন, ‘এরপর আর আমি এই বিষয়টি দেখিনি। এখন শুনছি তারা মেয়ের পরিবারের হুমকিতে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। আমাকে তারা এটা জানায়নি।’
এ বিষয়ে ছেলের বাবা বলেন, ‘মেয়েপক্ষ আমার নিজের মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের পরিচিত এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। তাই বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। বুধবার শ্রীপুর থানায় তাদের নামে মামলা করব।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই মেয়ের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এক প্রতিবেশী জানান, মামলার খবর জানতে পেরে তারা কাউকে কিছু না বলে কোথাও চলে গেছে।