বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুদিন ফিরেছে পাটচাষির

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২২:২৪

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে জেলায় ২৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন। এ বছর পাটের আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন।

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকার কৃষক নুরুল ইসলাম চৌকিদার। এবার ৫৬ শতাংশ জমিতে তিনি পাটের আবাদ করেছিলেন। ফলন হয় ১৫ মণ ২০ কেজি। এর জন্য নুরুলকে গুনতে হয়েছিল ১৫ হাজার টাকা।

গত সোমবার নড়িয়ার ভোজেশ্বর বাজারে মণপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাট বিক্রি করেন নুরুল। উৎপাদন খরচ ১৫ হাজার টাকা বাদ দিয়ে তার লাভ হয় ৩৯ হাজার ২৫০ টাকা।

নুরুল ইসলামের মতো এবার পাটের আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন অনেক কৃষক।

কৃষক নুরুল জানান, গত বছর প্রতি শতাংশ জমিতে পাট উৎপাদন হয়েছিল ৯ কেজি। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১১ কেজি। এ ছাড়া ২০২০ সালে প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে। এবার ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে।

শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে জেলায় ২৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৭৮ মেট্রিক টন। এ বছর পাটের আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮ হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন।

শরীয়তপুরে পাট বেচাকেনার সবচেয়ে বড় হাট নড়িয়ার ভোজেশ্বর। সোমবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও খুলনার বিভিন্ন বেসরকারি পাটকলের পাইকাররা পাট কিনছেন।

বাজারে তোষা জাতের পাট প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। মেছতা জাতের বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৪ হাজার টাকায়। আর সাদা পাট ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোজেশ্বরের পাট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার পাটের দাম বেশি। সামনে কী হবে বুঝতেছি না। এ জন্য এখনই পাট কিনে মজুত করছি না। মিলের চাহিদা অনুযায়ী কিনে সরবরাহ করছি।’

নড়িয়ার রাজনগর এলাকার কৃষক আব্বাস শেখ বলেন, ‘উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পাট বিক্রি করে দিতে হয়। এ বছর মৌসুমের শুরুতেই ভালো দাম পেয়ে পাট বিক্রি করেছি। আমার দুই বিঘা জমিতে খরচ বাদ দিয়ে ৪৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।’

শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক গোলাম রসুল বলেন, ‘গত বছর এ অঞ্চলে বন্যা হয়েছিল। যার ফলে কৃষিজমিতে পলি জমেছিল। এ জন্য উৎপাদন এবার বেশি হয়েছে। আর পাটের নানাবিধ চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় বাজার দামও ভালো।’

এ বিভাগের আরো খবর