করোনার বছরে ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধির বিষয়টি উঠে এল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের বার্ষিক প্রতিবেদনে।
আগের বছরের তুলনায় বেশি আয় করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে ৪৭ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ৪ টাকা ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রতিবেদন অনুযায়ী এবার শেয়ার প্রতি কোম্পানিটি আয় করেছে ১৫ টাকা ৬৬ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ১২ টাকা ৫৬ পয়সা। ওই বছর তারা শেয়ার প্রতি ৩ টাকা ৮০ পয়সা, অর্থাৎ ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
করোনার এক বছরে শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ২৪.৬৮ শতাংশ।
কোম্পানিটি চলতি বছর কর পরবর্তী চূড়ান্ত মুনাফা করেছে ৪৮ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার ১৯৮ টাকা।
আগের বছর কোম্পানিটির আয় ছিল ৩৯ কোটি ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৯৫৫ টাকা।
অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার ২৪৩ টাকা।
ইবনে সিনা ফার্মার আর্থিক প্রতিবেদন
আয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সম্পদমূল্যও বেড়েছে। গত ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছর শেষে শেয়ার প্রতি সম্পদ দাঁড়িয়েছে ৬৯ টাকা ১৩ পয়সা। গত বছর শেষে এই সম্পদ মূল্য ছিল ৫৭ টাকা ৫ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে বেড়েছে ১২ টাকা ৬ পয়সা বা ২১.১৩ শতাংশ।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদেরকে আগামী ১৮ অক্টোবর শেয়ার ধরে রাখতে হবে। এক মাস পর ১৮ নভেম্বর বার্ষিক সাধারণ সভায় এই লভ্যাংশ চূড়ান্ত হবে। করোনার বছরে এই সভা হবে ভার্চুয়ালি।
লভ্যাংশ ঘোষণার দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২৮৮ টাকা ২০ পয়সা। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২২০ টাকা থেকে ৩০৬ টাকা ৯০ পয়সা পর্যন্ত উঠানামা করেছে।