বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহকর্ত্রী হত্যায় ২ কাঠমিস্ত্রির মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৮

গৃহকর্ত্রী মরিয়মের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেই ৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসাটিতে যান অমিত ও ইউসুফ। চাকুর ভয় দেখিয়ে তারা মরিয়মকে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার বের করে দিতে বলেন। এ সময় গৃহকর্ত্রী চিৎকার দিলে আসামিরা চাকু দিয়ে তার গলা ও পেটে পোঁচ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মরিয়ম খাতুন।

ঢাকা মেডিক্যালের নার্সিং কলেজের হাউসকিপার মরিয়ম খাতুন হত্যা মামলার রায় হয়েছে। এতে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকা মঙ্গলবার এ রায় দেন।

হত্যার সাড়ে তিন বছর পর মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন অমিত হাসান ও ইউসুফ আলী ওরফে ঠান্ডা। তারা পেশায় কাঠমিস্ত্রি। বাসার ফার্নিচার ঠিক করার সময় তারা মালামাল লুটের চেষ্টাকালে মরিয়ম খাতুনকে হত্যা করেন বলে মামলার অভিযোগে জানা যায়।

ঢাকা নার্সিং কলেজের হাউসকিপার মরিয়ম খাতুন ও তার স্বামী আব্দুল হান্নান ২০১৮ সালের ৬ মার্চ সকালে অফিসে যেতে রাজধানীর দারুস সালাম এলাকার বাসা থেকে বের হন। বিকেলে অফিস শেষে মরিয়ম বাসায় ফেরেন। এর কিছুক্ষণ পর বাসায় ফিরে আব্দুল হান্নান দেখতে পান স্ত্রী মরিয়মের গলাকাটা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে আছে।

এ ঘটনায় মরিয়মের ছোট ভাই রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন।

তদন্তকালে পুলিশ মরিয়মের মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্রে কাঠমিস্ত্রি অমিত হাসান ও ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় দায় স্বীকার করেন। পরে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তারা জবানবন্দি দেন।

আসামিদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, মরিয়ম খাতুন ৪ মার্চ ফোন করেছিলেন কাঠমিস্ত্রি অমিত হাসানকে। বাসার কাপড়চোপড় রাখার আলনা ঠিক করে দিতে বলেন তিনি। ৬ মার্চ আলনা ঠিক করার জন্য সময় ঠিক করেন অমিত। এরপর আসামিরা পরিকল্পনা করেন মরিয়মকে চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা আদায় ও মালামাল লুটের। এ জন্য তারা দুটি চাকু কেনেন।

মরিয়মের সঙ্গে ফোনে আলাপ করেই ৬ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাসাটিতে যান অমিত ও ইউসুফ। চাকুর ভয় দেখিয়ে তারা মরিয়মকে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার বের করে দিতে বলেন। এ সময় গৃহকর্ত্রী চিৎকার দিলে আসামিরা চাকু দিয়ে তার গলা ও পেটে পোঁচ দেন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মরিয়ম খাতুন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. যোবায়ের ২০১৮ সালের ৩১ মে দুজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে ১৭ জন সাক্ষ্য দেন।

বিচারিক কাজ শেষে মঙ্গলবার আসামিদের ফাঁসির রায় হয়। এর আগে দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

রায়ের পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিদের কারাগারে নেয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দেলোয়ার হোসেন।

এ বিভাগের আরো খবর