বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এডিবির কাছ থেকে লাখ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৫

এডিবি বলেছে, নতুন সিপিএসের প্রধান লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, সবুজ শিল্পায়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ ও সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করতে সহায়তা দেয়া।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) আগামী ৫ বছরে (২০২১-২০২৫) বাংলাদেশকে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তা দেবে। বর্তমান বিনিময় মূল্য হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ২৭ পয়সা) টাকার অংকে এই অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা।

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত সংস্থাটির সদর দপ্তর থেকে মঙ্গলবার নতুন এই কান্ট্রি পার্টনারশিপ স্ট্যাটেজি (সিপিএস) ঘোষণা করা হয়।

ম্যানিলাভিত্তিক এই উন্নয়ন সংস্থাটি এর আগে গত পাঁচ বছরে (২০১৬-২০২০) বাংলাদেশকে ৯৬০ কোটি ডলার ঋণ-সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে কত অর্থ পাওয়া গেছে তার পুরো হিসাব পেতে বেশ কিছুদিন লাগবে।

এডিবি বলেছে, নতুন সিপিএসের প্রধান লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, সবুজ শিল্পায়ন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ ও সামাজিক সুরক্ষা শক্তিশালী করতে সহায়তা দেয়া।

এডিবি বলছে, ‘এই সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যাপক উন্নয়ন হবে; যা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। সেইসঙ্গে করোনাভাইরাস মহামারির ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে আর্থ-সামাজিক খাতকে সহায়তা করবে।’

নতুন কৌশলপত্রের আওতায় সংস্থাটির কাছ থেকে বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ সহায়তা পেতে যাচ্ছে, তা আগের পাঁচ বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি।

এডিবি বলছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কিনতে বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে এডিবি। এর বাইরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য সরকার ১০০ কোটি ডলারের কর্মসূচিভিত্তিক বাজেট সহায়তা চেয়েছে। এর মধ্যে ২৫ কোটি ডলার দেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ ২০২১-২০২৩ সালের মধ্যে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা বলেন, ‘টেকসই প্রবৃদ্ধি ও যথাযথ নীতিগত উদ্যোগ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভালো ফলাফল এনে দিয়েছে। এখন সামনে আরও এগোনোর জন্য প্রয়োজন শিল্প ও রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনা।

‘কৃষিপণ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, হালকা প্রকৌশল এবং ওষুধের মতো শিল্পখাত ও রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্রায়নের সঙ্গে বাড়তি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নতুন নতুন বাজারে প্রবেশাধিকার, কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার, দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’

এডিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিবি বাংলাদেশে তার বেসরকারি খাতের কার্যক্রম আরও প্রসারিত করবে এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে অর্থায়ন অব্যাহত রাখবে। ব্যাংকিং খাতের উন্নতি, ব্যবসা সহজীকরণ, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে, বেসরকারি খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকে উন্নীত করতে সহায়তা করবে।

নতুন এই কৌশলপত্রে প্যারিস চুক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে এডিবি বাংলাদেশে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে।

এতে বলা হয়, ‘জল, নদী এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো সরাসরি মোকাবিলা করতে কর্মসূচি সম্প্রসারণের সময় জলবায়ু পরিবর্তনকে সংহত করার জন্য একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কৌশলপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। বৈষম্য ও দারিদ্র্য কমাতে সুনির্দিষ্ট কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কার্যকর বাস্তবায়ন, অধিকতর ন্যায়সঙ্গত গ্রামীণ ও আঞ্চলিক উন্নয়ন, স্বল্পমূল্যের আবাসন এবং মৌলিক সেবায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে দরিদ্রদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিশ্চিত করা।

আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ দারিদ্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছে। অতি দারিদ্যের হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাইছে।

‘এডিবির এই সহায়তা বাংলাদেশের এই লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে’ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘নতুন কৌশলপত্র বাংলাদেশ সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকারের সাথে আলাপ-আলোচনা করে তৈরি করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হচ্ছে, আরও বেশি সম্পদ আহরণ, উৎপাদন ও রপ্তানির বৈচিত্র্য এবং টেকসই নগরায়ন।’

উন্নয়ন সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাটি ৬৮টি সদস্য দেশে ৪৯ অঞ্চলে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

এ বিভাগের আরো খবর