বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আত্মগোপন, ৯ বছর পর উদ্ধার

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৫৮

মামলার বিবাদী এস রহমান জানান, পাশের নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের জালাল মৃধার সঙ্গে তাদের পূর্ববিরোধ ছিল। এর জেরে জালাল মৃধার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে ১৪ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। অভিযোগে বলা হয়, তাদের ১৪ বছরের সন্তান রাসেল মৃধাকে মারধরের পর অপহরণ করেন ওই ১৪ জন।

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৯ বছর আগে সন্তানকে লুকিয়ে অপহরণ মামলা করেন মরিয়ম বেগম নামের এক নারী। সেই মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারভোগ করতে হয়েছে তিন আসামিকে।

সোমবার রাতে রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে আত্মগোপনে থাকা রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার রাসেলকে নেয়া হয়েছে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ হেফাজতে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামে।

মামলায় কারাভোগ করা আসামির একজন এস রহমান। তিনি গৌরনদীর বাসুদেবপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

তিনি জানান, পাশের নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের জালাল মৃধার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এর জেরে জালাল মৃধার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল আদালতে ১৪ জনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, তাদের ১৪ বছরের সন্তান রাসেল মৃধাকে মারধরের পর অপহরণ করেন ওই ১৪ জন। আদালত মামলাটি নিতে গৌরনদী মডেল থানাকে নির্দেশ দেয়।

এস রহমান আরও জানান, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ফোরকান হাওলাদার ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ জন্য তাকে এবং তার পক্ষের লোকজনকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়েছে।

এস রহমান বলেন, ‘৯ বছর পর সোমবার জানতে পারি মামলার বাদী মরিয়মের ছেলে রাসেল ঢাকার রায়েরবাগ এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে। ওই রাতে স্থানীয়দের সহায়তায় সেখান থেকে রাসেলকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

রাসেল মৃধাকে থানায় হস্তান্তরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন।

মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা ফোরকান হাওলাদার জানান, তখন যে অভিযোগপত্র দেয়া হয় সেটি সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই দেয়া হয়েছিল। এখন বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার। রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাকে বুধবার আদালতে তোলা হবে। সেখানে জবানবন্দি নেয়ার পর আদালত যে নির্দেশনা দিবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর