ইভ্যালির দুই শীর্ষ কর্মকর্তার গ্রেপ্তারের পর সাভারে প্রতিষ্ঠানটির অয়্যারহাউজ থেকে সামগ্রী অন্যত্র সরিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এমন সংবাদে গ্রাহকেরা ভিড় করছেন সাভারের বলিয়ারপুরে ইভ্যালির ওয়্যারহাউজে।
অভিযোগ উঠেছে, ইভ্যালির প্যাকেজিং বিভাগের কর্মচারী মোজাম্মেল হক সাভারের হেমায়েতপুর পূর্বহাটিতে তার শ্বশুর বাড়িতে এসব পণ্য এনে তা বিক্রি করছেন।
ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ পণ্য অন্যত্র সরিয়ে রাখার কথা স্বীকার করলেও তা বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, নিরাপত্তাহীনতার কথা বিবেচনা করে তারা ৪০-৫০ কার্টন মোবাইল এক্সেসরিজ ও কিছু রিয়েলমি ফোন তাদের স্টাফ মোজাম্মেলের শ্বশুর বাড়িতে রেখে আসেন। সেখান থেকে সেগুলো গ্রাহকদের কাছে নিয়মিত ডেলিভারির চিন্তা ছিল। শতাধিক ডেলিভারিও তারা দিয়েছেন।
সেখানেও গ্রাহকদের ভিড় জমতে থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে আবারও পণ্য তাদের অফিসে ফিরিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
ইভ্যালির প্যাকেজিং বিভাগের কর্মচারী মোজাম্মেল হোসেনের আত্মীয় নীল চাঁদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার শ্যালিকার জামাই মোজাম্মেল ইভ্যালির প্যাকেজিং সেকশনে কাজ করেন। যে দিন রাসেল সাহেব অ্যারেস্ট হয়েছেন, ওই দিনই রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে) ইভ্যালির বেশ কয়েক জন কর্মকর্তাসহ মোজাম্মেল তাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তারা বেশ কিছু কার্টন সঙ্গে নিয়ে তাদের বাসায় রাখেন। ওইসব কার্টনে মোবাইল ও এক্সেসরিজ ছিল বলে তাদের জানায় মোজাম্মেল ও ইভ্যালির লোকজন।’
নীল চাঁন বলেন, ইভ্যালির গ্রাহক পরিচয়ে কিছু লোক তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকায় পণ্যগুলো ওই বাসা থেকে আবার ইভ্যালির অয়্যারহাউসে ফেরত নেয়া হয়।
ইভ্যালির অ্যাসিট্যান্ট ম্যানেজার ও এইচআর অ্যাডমিন মোস্তাফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে দিন রাসেল স্যার অ্যারেস্ট হন, ওই দিন রাতেই আমরা প্রোডাক্টগুলো মোজাম্মেলের শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসছি। আমার তত্ত্বাবধানেই সেগুলা অফিস থেকে বের হইছে। শুক্রবার ওখানে ঝামেলা হইছে শুনে মালগুলো আবার শনিবার বিকেলের মধ্যেই অয়্যারহাউজে ঢুকিয়ে দেই। আমার অফিস থেকে ডিসিশন দিয়েছিল এটা।’
প্রোডাক্ট কী ছিল এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘৪০-৫০টা কার্টন ছিল। কিছু হেডফোন, স্মার্টওয়াচ, রিয়েলমি ও নোকিয়ার কিছু ফোন ছিল।’
স্টাফ মোজাম্মেল হোসেন কোথায় আছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আমার সাথে যোগাযোগ করতেছে। উনি একটু ভয়ে আছেন।’