বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাকের চাকা ঘুরছে না, উদ্বেগে কৃষক-ব্যবসায়ী

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:২০

দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫ বিগি শিম চাষ করিচি। আমি শিম নিয়ি ঢাকায় বিক্রি করি। টিরাক ও মিনি টিরাক বন্দ হওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়িগিচি। একুন তো সব নষ্ট হয়ি যাবে। একেনেও খুব একটা দাম পাওয়া যাবে না।’

দেশজুড়ে পণ্যবাহী পরিবহনশ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের প্রথম দিন কোথাও কোথাও বন্ধ রয়েছে পরিবহন, আবার কোথাও পরিবহনশ্রমিকরা বলছেন, তারা জানেনই না ধর্মঘটের কথা।

মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর (এআইটি) প্রত্যাহারসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ে বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইম মুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের যৌথ উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ধর্মঘট।

প্রাইম মুভার ট্রেইলর মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হাসান মুরাদ বাদশা জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের বৈঠক রয়েছে। তার আগ পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। বৈঠকের পর নতুন করে সিদ্ধান্ত হবে কর্মবিরতি চলবে কি না।

ধর্মঘটের কারণে পচনশীল পণ্য পরিবহন নিয়ে উদ্বেগে আছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। যদিও তিন দিনের ধর্মঘটের প্রথম দিন পালনে দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র।

চট্টগ্রাম

ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৬টা থেকে পণ্যবাহী কোনো গাড়ি ঢুকতে পারেনি বন্দরে।

কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়িতে চট্টগ্রামের ১৮টি ডিপো থেকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার আনা-নেয়া হয়। গাড়ি না থাকায় জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

কনটেইনার ডিপো সমিতির সচিব রুহুল আমিন সিকদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিদিন রপ্তানি পণ্যবাহী দেড় হাজার কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়। কর্মবিরতির কারণে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না। আবার আমদানি পণ্যবাহী যেসব কনটেইনার ডিপোতে খুলে খালাস করা হয়, তাও বন্দর থেকে আনা যাচ্ছে না।’

বরিশাল

বরিশালে পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘটে অংশ নিয়েছে বরিশাল জেলা ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন। বন্ধ রয়েছে পণ্যবাহী সব ধরনের যানবাহন।

জেলা ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই ১৫ দফা দাবি আদায়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। মহাসড়কে চাঁদাবাজি ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। ধর্মঘটে কোনো ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক চলতে দেয়া হবে না।’

ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রহমতপুর বিমানবন্দর মোড়ে সমাবেশ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা।

বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো. মনির জানান, গাড়ির কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে পুলিশি হয়রানি ও পৌর টোলের নামে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। তাদের ১৫ দফা দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সিলেট

ধর্মঘটে সিলেট বিভাগে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তবে বিভাগের চার জেলার মধ্যে কিছু ট্রাক, পিকআপ ভ্যান চলাচল করছে।

বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইম মুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক শাব্বির আহম্মেদ ফয়েজ নিউজবাংলাকে জানান, ধর্মঘটের কারণে পণ্যবাহী ট্রাক সিলেটে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তবে বিকেলের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহী

পরিবহনশ্রমিকদের কেন্দ্রীয় ঘোষণার প্রতি সমর্থন দিয়ে রাজশাহীর ট্রাকশ্রমিকরা সকাল থেকে ট্রাক নামায়নি। জেলার বাইরে কোনো পণ্যবাহী পরিবহন যায়নি।

তবে রাজশাহী মহাসড়কে বাইরের জেলার কিছু ট্রাক চলতে দেখা গেছে। চলেছে পিকআপ ভ্যানও।

আশপাশের উপজেলা ও জেলা থেকে অটোরিকশা ও ভটভটিতে করে পণ্য নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্রাক বন্ধ থাকায় ব্যবসার ওপর এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহী বেনেতি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী নিউজবাংলাকে জানান, ট্রাক বন্ধের ঘোষণা আগে থেকে দেয়া ছিল বলে এখন পর্যন্ত এর প্রভাব সেভাবে নেই। কারণ যাদের জরুরি পণ্য প্রয়োজন ছিল তারা আগেই নিয়ে এসেছেন। তবে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় কাজ করছে যে ধর্মঘট যদি শিগগিরই তুলে নেয়া না হয়, তাহলে পণ্যসংকট দেখা দেবে। পণ্যের দামও বেড়ে যেতে পারে।

সেকেন্দার আলী বলেন, ‘রাজশাহীতে তেমন পাইকারি বড় ব্যবসায়ী নেই। এখানে বেশি দিনের জন্য পণ্য মজুত করা হয় না। কয়েক দিন পরপরই পণ্য আনা হয়। এ কারণে তাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।’

রাজশাহী ট্রাক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সাদরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহীতে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার ট্রাক চলাচল করে। রাজশাহীর কোনো ট্রাক আজকে চলাচল করেনি। তবে অন্য জেলায় কিছু চলেছে।

‘আমাদের নিজেদের দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি পালন হচ্ছে। এখানে কোনো জোরজবরদস্তি নেই। কোনো পিকেটিং নেই।’

রংপুর

ধর্মঘটের বিপরীত চিত্র দেখা গেছে রংপুরে। এখানে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন।

জেলা ট্রাক, ট্যাংক-লরি, কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে কর্মবিরতি দেয়া হয়েছে তা রাজধানীর তেজগাঁওকেন্দ্রিক। এই কর্মসূচি আমরা পালন করছি না।’

শহরের শাপলা টার্মিনালে ট্রাকচালক মনির হোসেন বলেন, ‘শুনছি ঢাকাত ধর্মঘট চলোছে। আমাদের এই দিকে ধর্মঘট নাই। আমরা গাড়ি নিয়ে ভাড়ার জন্য আসচি। ভাড়া পাইলে ভাড়া মারমো।’

রংপুরে স্বাভাবিকভাবেই চলছে পণ্যবাহী পরিবহন

কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালের ট্রাকচালক আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনি শুনেছেন ২৬ তারিখ থেকে ধর্মঘট।

রংপুর নগর পুলিশের উপকমিশনার কাজী মুত্তাকী ইবনে মিনান বলেন, ‘আমরা মাঠেই আছি। কোথাও কোনো ধর্মঘট নেই।’

ময়মনসিংহ

রংপুরের মতো ময়মনসিংহেও মানা হচ্ছে না ধর্মঘট। সব সড়ক-মহাসড়কে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। ট্রাকের কারণে কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে যানজটও।

ধর্মঘটের কথাই জানেন না পণ্যবাহী পরিবহনের চালকরা।

ময়মনসিংহের পাটগ্রাম বাস টার্মিনালে ট্রাকচালক মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘সারা দেশে ধর্মঘট চলছে শুনেছি। তবে আমাদের নেতারা কিছুই জানায়নি। বলেছে এ ধর্মঘট মানতে হবে না। এ জন্য গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।’

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বাইপাস মোড়ে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের চালক মো. আরফান বলেন, ‘কের (কিসের) ধর্মঘট? এক দিন বাড়িতে বইয়্যা (বসে) রইলে পেডে ভাত দেওন যাইত না। দাবি আদায় করলে নেতারা আলোচনা করে করুক।’

জেলা মোটর মালিক সমিতির (ট্রাক বিভাগ) সম্পাদক রবিউল ইসলাম শাহীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্মঘটের ডাক দেয়া সংগঠনটি একটি অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন। তাদের ধর্মঘটে আমরা সাড়া দিইনি। পণ্য পরিবহনের সব গাড়ি চলাচলের নির্দেশ দিয়েছি।’

শাহীন জানান, তারা নিজেদের দাবি আদায়ে আগামী ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর পরিবহন ধর্মঘট পালন করবেন। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

চালকরা মনে করেন, পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের একাধিক সংগঠনের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে দাবি আদায় হয় না। যদি সবাই একসঙ্গে বসে আলোচনা করে আন্দোলনের ডাক দেয়, তাহলেই সুফল মিলবে। বিচ্ছিন্নভাবে ধর্মঘট করে দাবি আদায় অসম্ভব।

সাভার

সাভারে সারা দিন স্বাভাবিকভাবে পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করেছে। ধর্মঘটের কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আশুলিয়া শাখার সদস্য আমির আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধর্মঘটটা মূলত দক্ষিণবঙ্গের ওই দিকে। আমাগো এই দিকে কোনো ধর্মঘট নাই। সব স্বাভাবিকভাবেই চলতেছে। এই দিকে ধর্মঘট দেয়ার কোনো সম্ভাবনাও নাই।’

মানিকগঞ্জে মানতে দেখা যায়নি পণ্যবাহী পরিবহন ধর্মঘট

সাতক্ষীরা

পণ্য পরিবহনশ্রমিকদের ধর্মঘটের কোনো প্রভাব পড়েনি সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরেও।

জেলা ভিআইপি ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহিন আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পণ্য পরিবহন ধর্মঘটে সহমর্মিতা জানিয়েছি। তবে এতে অংশ নিচ্ছি না।’

ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি পরিতোষ ঘোষ জানান, বন্দরে ট্রাক চলাচল স্বাভাবিক আছে। বন্দরের কোনো কার্যক্রম ব্যাহত হয়নি।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় কৃষিপণ্যের ওপর ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

সকাল থেকেই জেলার সব রুটে বন্ধ রয়েছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের পণ্যবাহী পরিবহন। এতে জেলার বাইরে পণ্য পাঠাতে পারছেন না কৃষকরা। পচনশীল পণ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।

দামুড়হুদা উপজেলার হোগলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৫ বিগি শিম চাষ করিচি। আমি শিম নিয়ি ঢাকায় বিক্রি করি। টিরাক ও মিনি টিরাক বন্দ হওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়িগিচি। একুন তো সব নষ্ট হয়ি যাবে। একেনেও খুব একটা দাম পাওয়া যাবে না।’

জেলা শহরের বড় বাজার কাঁচামাল আড়ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষিপণ্য আমদানি করি। পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় কাঁচামাল আমদানি করতে পারছি না। এতে কৃষিপণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে।’

এদিকে দাবি আদায় না হলে আরও বড় কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকনেতারা।

জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাবিবুর রহমান লাভলু বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারিতে সারা বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্য বিপর্যস্ত হয়েছে। এই সময় পণ্য পরিবহনমালিকদের ওপর অগ্রিম আয়কর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাতিলসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।

‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’

নওগাঁ

পণ্যবাহী পরিবহনশ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে নওগাঁর সঙ্গে সারা দেশের পণ্য পরিবহন সেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

নওগাঁ শহরের রজাকপুর ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সকাল থেকে কোনো ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান ছেড়ে যায়নি। বাইরে থেকেও শহরে আসেনি।

এতে নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী।

নাটোরে মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল

শহরের বিহারী কলোনির রশিদুল আলম বলেন, ‘আমি তিন মাস হলো ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছি। আজ থেকে ধর্মঘটের কারণে কোনো ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চলছে না। আমি পড়েছি মহাবিপদে।

‘দুই দিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলাম। পরিবারসহ বাসার সব মাল নিয়ে আমার আজ ঢাকা ফেরার কথা ছিল। এখন মনে হচ্ছে সব রেখে একাই ফিরতে হবে।’

নওগাঁ পৌর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা কাঁচা পণ্য ট্রাকে করে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় সরবরাহ করি। ধর্মঘটের কারণে কোনো পণ্য আজ পাঠাতে পারিনি। এভাবে তো আমার লস হয়ে যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি সব চালু না হলে বড় ধরনের লসে পড়ে যাব।’

জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, দেশের ৮ থেকে ৯ শতাংশ চাল নওগাঁয় উৎপাদিত হয়। তিন দিন অন্য জেলায় চাল পাঠাতে না পারায় অনেক চাল ব্যবসায়ীই বিপাকে। কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

নওগাঁ জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি শেখ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘১৫ দফার মধ্যে আমাদের প্রধান দাবি হচ্ছে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের অগ্রিম আয়কর নেয়া যাবে না এবং এ পর্যন্ত নেয়া অগ্রিম আয়কর ফেরত দিতে হবে। সহজ শর্তে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের নিবন্ধন এবং এসব গাড়িচালকদের লাইসেন্স দিতে হবে।

‘কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনা অনুযায়ী মালিক ও শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট পালন করছেন। আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামীতে আবারও ধর্মঘটের ডাক দেয়া হতে পারে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন চট্টগ্রামের সিফায়াত উল্লাহ, বরিশালের তন্ময় তপু, সিলেটের দেবাশীষ দেবু, রাজশাহীর আহসান হাবিব অপু, রংপুরের রফিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহের কামরুজ্জামান মিন্টু, সাভারের ইমতিয়াজ উল ইসলাম, সাতক্ষীরার রফিকুল ইসলাম শাওন, চুয়াডাঙ্গার জহির রায়হান সোহাগ ও নওগাঁর সবুজ হোসেন

এ বিভাগের আরো খবর