নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ৯ জন এবং চারটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
সুবর্ণচরের ছয় ইউপির মধ্যে চারটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। হাতিয়ার সাত ইউনিয়নের পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ এবং দুটিতে বিদ্রোহী প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
সুবর্ণচরের ২ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নে আমিনুল ইসলাম রাজিব (নৌকা), ৭ নম্বর চরবাটা ইউনিয়নে আবুল বাশার মঞ্জু (নৌকা), চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নে অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন (নৌকা), ৪ নম্বর ওয়াপদা ইউনিয়নে আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (নৌকা), ৩ নম্বর চরক্লার্ক ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট আবুল বাশার (মোটরসাইকেল) এবং ৮ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে মহিউদ্দিন চৌধুরী (আনারস) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
ওই উপজেলার ছয় ইউনিয়নে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়। রাতে রিটার্নিং অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল ছয়জনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নে মেহেদী হাসান (নৌকা), চর ঈশ্বর ইউনিয়নে আলাউদ্দিন আজাদ (নৌকা), নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে নুরুল আফছার দিনাজ (নৌকা), তমরদ্দি ইউনিয়নে রাশেদ উদ্দিন (নৌকা), চর কিং ইউনিয়নে মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), জাহাজমারা ইউনিয়নে মাছুম বিল্লাহ (আনারস) ও বুড়িরচর ইউনিয়নে ফখরুল ইসলামকে (আনারস) বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন উপজেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাতিয়ার সাত ইউনিয়নে সোমবার সকালে ভোট শুরুর এক ঘণ্টা পর ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীসহ পাঁচ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
ভোট বর্জনকারীরা হলেন ৯ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জিয়া আলী মোবারক কল্লোল, ১০ নম্বর জাহাজমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এটিএম সিরাজ উদ্দিন, ৫ নম্বর চরইশ্বর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল হালিম আজাদ, ৮ নম্বর সোনাদিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র নুরুল ইসলাম মালয়েশিয়া এবং ১১ নম্বর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র মেহেরাজ উদ্দিন। স্বতন্ত্র সবাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।