গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছ থেকে নানা প্রশংসা আসার পর তার করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিলেন না বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। তিনি বলেছেন, এই আবেদনের ওপর সিদ্ধান্ত দিলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তাকে তিনি অন্য বেঞ্চে আবেদনটি নিয়ে যেতে বলেছেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজে আসন বাড়ানোর বিষয়ে রিট আবেদনটি করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে এর শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
এই রিট আবেদন করার পর রাজধানীতে নানা আয়োজনে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করে বক্তব্য রেখেছেন জাফরুল্লাহে চৌধুরী। তিনি সাহসী রায় দেন- এমন কথা বলেছেন একাধিকবার।
জাফরুল্লাহর করা রিট আবেদনটি শুনানির জন্য এলে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব, আপনি আমার অনেক প্রশংসা করেছেন। আমি এ মামলায় যদি আদেশ দিই, তাহলে কেউ ভিন্ন মন্তব্য করতে পারেন। সে জন্য আপনি অন্য আদালতে যান। আমরা আউট অফ লিস্ট করে দিচ্ছি।’
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ফখরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজে ২০০৩ সালে ৮০ জন ছাত্র ভর্তির অনুমতি পায়। পরে ২০১০ সালে ১১০ জন ভর্তির অনুমতি পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পরে তারা চিঠি দিয়ে বলে ৫০ জনের বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ বিষয়ে আপিলের ভিত্তিতে ১০ জন বাড়িয়েছিল। অথচ গণস্বাস্থ্যের অবকাঠামো হলো ১১০ জনের।
‘তাই গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খন্দকার ১১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।’