সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে যক্ষ্মা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, গত ১৭ বছরে দেশে যক্ষ্মাতে মৃত্যুহার প্রায় অর্ধেক কমেছে।
রাজধানীর শ্যামলীতে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের সময় তিনি এ তথ্য দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ২০০৪ সালের যক্ষ্মাতে ৭০ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নানামুখী পদক্ষেপে এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এখন যক্ষ্মাতে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমে আসছে। এখন প্রতি বছর ২৮ হাজার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছি।’
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থা এই চিকিৎসা ফ্রিতে দিচ্ছে। ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস ফ্রি দেয়া হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য এই রোগী আরও কমিয়ে আনা।’
বাংলাদেশে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৯০ শতাংশই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি যক্ষ্মা নির্মূল করতে চাই এবং যক্ষায় মৃত্যুর হার কমাতে চাই, তাহলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত সঠিকভাবে করতে হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করা সম্ভব হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে ওঠে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের প্রায় সব জায়গায় বিনা মূল্যে যক্ষ্মারোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এই চিকিৎসা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।