বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চুরির চার মাস পর গ্রেপ্তার ৭

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:৩৯

গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চক্রটির হাতে খড়ি। তিন-চার বছর আগে তারা ঢাকায় চলে আসে। প্রথমে ছোট ভবনে চুরি করলেও পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ ভবনের নামীদামি অফিসে চুরির টার্গেট করে। প্রথমে দুই-তিন দিন ধরে তারা রেকি করে। এরপর সব ধরনের তালা ভেঙে মালামাল ও টাকাপয়সা চুরি করে কৌশলে বের হয়ে যায়।

রাজধানীর উত্তরা প্যারাডাইস টাওয়ারে চার মাস আগে চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে সোমবার রাজধানীর ডেমরা ও কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি হাতুড়ি, একটি লোহার রেঞ্জ, তিনটি হ্যাক্সো ব্লেড, একটি প্লায়ার্স, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার ও ২০টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জামাল উদ্দিন, শফিক ভূঁইয়া ওরফে বাছা, জসিম উদ্দীন, কাদের কিবরিয়া ওরফে বাবু, মো. শাকিল, মো. আলামিন ও মুক্তা আক্তার।

চক্রের হোতা জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মামলা চট্টগ্রামে ও বাকি চার মামলা ঢাকায়। এদের একজন ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ ছাড়া গ্রুপের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, গত ১১ জুন উত্তরার প্যারাডাইস টাওয়ারের ৮ম তলায় ‘গোল্ডেন টাচ ইমপোর্ট (আইএনসি)’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৩ জুন উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলার ছায়া তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গোয়েন্দা উত্তরা জোনাল টিম।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চক্রটির হাতে খড়ি। তিন-চার বছর আগে তারা ঢাকায় চলে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, প্রথমে ছোট ছোট ভবনে চুরি করলেও পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সুউচ্চ ভবনের নামীদামি অফিসে চুরির জন্য টার্গেট করে। সদস্যরা প্রথমে টার্গেটকৃত অফিস দুই-তিন দিন ধরে রেকি করে। এরপর অফিসের তালা, সিকিউরিটি লক, ডিজিটাল লক ও অফিস কক্ষের ড্রয়ার ভেঙে মূল্যবান মালামাল ও টাকাপয়সা চুরি করে কৌশলে বের হয়ে চলে যায়।

কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আদাবর টাওয়ারের ৪র্থ তলার এক্সপার্ট গ্রুপ, কাকরাইলে নাসির উদ্দিন টাওয়ারের ১০ম তলায় আমিন গ্রুপ, গুলশান জব্বার টাওয়ারের ১৯ তলায় এসিউর গ্রুপ, বাড্ডা রূপায়ন টাওয়ারের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত সফট লিংক কোম্পানি ও ৭ম তলায় অবস্থিত এক্সজিবল কোম্পানির অফিসে চুরি করেছে বলে তথ্য দিয়েছে। ঘটনাস্থলগুলোর সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনায়ও এর প্রমাণ পাওয়া যায়।

মাহবুব আলম গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘অনেক ভবনে সিসি টিভি থাকলেও ওভাবে পর্যালোচনা করা হয় না। চক্রের নারী সদস্য চুরিতে সহযোগী ছিলেন। তিনি চুরির সময় থাকেন না। তবে আগে থেকে জায়গায় গিয়ে রেকি করা, তথ্য নেয়া ও মালামাল গচ্ছিত রাখার কাজ করেন। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চুরির আরও অনেক ঘটনা জানা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর