লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সভাপতিসহ ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহরের মেঘনা রোড এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সভায় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতাদের অংশ নেয়ার কথা ছিল।
তাদের স্বাগত ও নিজেদের অবস্থান জানান দেয়ার জন্য সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন যুবলীগের বিভিন্ন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা।
মেঘনা রোড এলাকায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপুর সমর্থকরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের স্বাগত জানাতে স্লোগান দেন। এ সময় সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ সৈয়দ নুরুল আজিম বাবরের সমর্থকরা একই এলাকায় মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু, সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর, আবুল কাশেম, তারেক হোসেন, জামাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম, সৌরভ হোসেন, মামুনুর রশিদ ও মো. সবুজসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহত সবাইকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলার জন্য জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহউদ্দিন টিপুকে দায়ী করেছেন সৈয়দ নুরুল আজিম বাবর। তবে সালাহউদ্দিন টিপু বলেন, ‘জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে বিঘ্নিত করতে আমার ও নেতা-কর্মীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে। এ সময় আমার ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুরসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বাবরের নেতৃত্বে বহিরাগতরা এ হামলার চালায়।’
সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।