অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলায় আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন বিএনপি-জামাতের জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলামের আদালতে মামলাটিতে মঙ্গলবার আসামির আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে হাজির করা হয় বাবরকে।
বিচারক মামলার সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য বাবরকে পড়ে শোনান এবং এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানতে চান।
জবাবে বাবর নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন এবং কোনো সাফাই সাক্ষী দেবেন না মর্মে আদালতকে জানিয়ে দেন।
এরপর বিচারক আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ রাখেন বিচারক বলে নিউজবাংলাকে জানান বাবরের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
শুনানি শেষে বাবরকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
২০০৭ সালের ২৮ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে যৌথবাহিনীর হাতে আটক হওয়া বাবরের বিরুদ্ধে রমনা থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের মামলাটি হয়েছিল ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি।
মামলাটি করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম।
তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদকের উপ সহকারী পরিচালক রূপক কুমার সাহা আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে বাবরের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ৮৯৬ টাকার অবৈধ সম্পদ রাখার অভিযোগ আনা হয়।
বাবার দুদকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার সম্পদের হিসাব দাখিল করেছিলেন।
তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক এবং এইচএসবিসি ব্যাংক দুইটি এফডিআর-এ ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণ বাবদ ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ টাকা গোপনের কথা উল্লেখ করা হয়।