চট্টগ্রাম ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এবং প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়ন ১৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করায় চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এই পরিবহন সংগঠন কর্মবিরতি শুরু করে। ধর্মঘটের কারণে সকাল ৬টা থেকে পণ্যবাহী কোনো গাড়ি ঢুকতে পারেনি বন্দরে।
কনটেইনার পরিবহনকারী গাড়িতে চট্টগ্রামের ১৮টি ডিপো থেকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ও খালি কনটেইনার আনা-নেয়া হয়। কর্মবিরতির কারণে ডিপো থেকে কনটেইনার আনা-নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
কনটেইনার পরিবহনকারী প্রাইম মুভার ট্রেইলর গাড়িতে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে নেয়া হয়। আবার আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দর থেকে ডিপোতে আনা হয়। এ ছাড়া খালি কনটেইনার ডিপো ও বন্দরে নিয়মিত আনা-নেয়া হয় এসব গাড়িতে। ধর্মঘটের কারণে কনটেইনার পরিবহন এখন বন্ধ রয়েছে।
গাড়ি না থাকায় জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। কনটেইনার পরিবহনের জন্য এ ধরনের বিশেষায়িত গাড়ি আছে প্রায় ৯ হাজার।
কনটেইনার ডিপো সমিতির সচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, প্রতিদিন রপ্তানি পণ্যবাহী দেড় হাজার কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়। কর্মবিরতির কারণে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না। আবার আমদানি পণ্যবাহী যেসব কনটেইনার ডিপোতে খুলে খালাস করা হয় তাও বন্দর থেকে আনা যাচ্ছে না।
এই বিষয়ে জানতে বন্দর সচিব ওমর ফারুককে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।
বন্দরের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, কর্মবিরতির কারণে কনটেইনার পরিবহন প্রায় বন্ধ আছে। তবে কনটেইনার খুলে পণ্য খালাসসহ অন্যান্য কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
প্রাইম মুভার ট্রেইলর মালিক সমিতির সদস্য হাসান মুরাদ বাদশা বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। তার আগ পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। বৈঠকের পর নতুন করে সিদ্ধান্ত হবে কর্মবিরতি চলবে কি না।’
ধর্মঘটের কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির লিড টাইম, বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থান ইত্যাদিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বন্দরসংশ্লিষ্টরা।