সিলেট নগরীর আম্বরখানার একটি বাড়ির ছাদ থেকে দুই বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, দুই বোন আত্মহত্যা করেছেন। তবে স্থানীয় কাউন্সিলর বলছেন, ঘটনাটি রহস্যজনক।
মৃত নারীরা হলেন ৩৭ বছরে শেখ রানী মজুমদার ও ২৭ বছরের ফাতেমা বেগম।
নগরের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) সকালে পরিবারের সদস্যরা বাসার ছাদে দুই বোনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দেন।
‘ছাদের ওপর থাকা পিলারের রডের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে তারা আত্মহনন করেছেন। মরদেহ দুটি ঝুলছিল ছাদের কার্নিশের বাইরে।
ওসি জানান, রানী ও ফাতেমারা চার বোন ও দুই ভাই। তাদের মধ্যে এক বোনের বিয়ে হয়েছে। তিনি যুক্তরাজ্যে থাকেন। অন্য তিনজন মায়ের সঙ্গে এই বাড়িতে থাকতেন।
ওসি বলেন, ‘এই পরিবারের সদস্যদের কিছুটা অপ্রকৃতস্থ মনে হচ্ছে। তারা চাপা স্বভাবের। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গেও তাদের তেমন যোগাযোগ নেই। কেউ কোনো কথাও বলতে চাচ্ছেন না।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের স্থানীয় কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ‘দুই বোনের মধ্যে রানী নবম শ্রেণি পর্যন্ত এবং ফাতেমা মাস্টার্স পর্যন্ত পড়ালেখা করেছেন।
‘তাদের মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ চলত। সে কারণে আত্মহত্যা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’
রানী ও ফাতেমার ভাই শেখ সুজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাল আমার বোন রানীকে পাত্রপক্ষ দেখতে এসেছিলেন। এরপর সে রাগ করে ছোট বোনকে (ফাতেমা) নিয়ে চাচার বাসায় চলে যায়। রাতে বাসায় ফেরেনি। সকালে প্রতিবেশীরা ছাদে দুজনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে আমাদের খবর দেন।’
কাউন্সিলর রেজাউল বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা একেক সময় একেক তথ্য দিচ্ছে। ফলে পুরো বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন।’
সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘তাদের পরিবারের মধ্যে কলহ ছিল বলে শুনেছি। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর থানার ওসি মাইনুল।