বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর নামে বৃক্ষরোপণ, বেঞ্চ উৎসর্গ

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৯:৩১

জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বৃক্ষরোপণ এবং একটি বেঞ্চ উন্মুক্ত করার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত চমৎকার একটা জায়গায় চেয়ার উৎসর্গ করা হলো এবং একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো। শতবর্ষের ওপর এই বৃক্ষটা টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তা বয়ে বেড়াবে।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের বাগানে একটি ‘হানি লোকাস্ট’ গাছ রোপণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে সেখানে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে তার বাণী সংবলিত একটি বেঞ্চও উন্মুক্ত করেছেন সরকারপ্রধান।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে সোমবার স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের উত্তর লনে এ বৃক্ষরোপণ এবং বেঞ্চ উন্মুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

হানি লোকাস্ট দ্রুত বর্ধনশীল ফুলের গাছ। ১০০ থেকে ১২০ বছর বাঁচে এই গাছটি।

বৃক্ষরোপণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা একটা বিশেষ দিন। কারণ আমাদের যুদ্ধ বিজয়ের পর ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ১৭ সেপ্টেম্বর স্বীকৃতি পাওয়ার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে আসেন এবং ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি (বঙ্গবন্ধু) ভাষণ দেন।

‘সেই ভাষণটা তিনি দিয়েছিলেন বাংলা ভাষায়। এই সেপ্টেম্বর মাসে এত চমৎকার একটা জায়গায় চেয়ার উৎসর্গ করা হলো এবং একটা বৃক্ষরোপণ করা হলো। শতবর্ষের ওপর এই বৃক্ষটা টিকে থাকবে এবং শান্তির বার্তা বয়ে বেড়াবে।’

জাতির পিতা তার জীবনজুড়ে শুধু শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন জানিয়ে তার কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংগ্রাম করেছেন দরিদ্র মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। বাংলাদেশের মানুষের দুঃখের কথাও যেমন ভেবেছেন, সারা বিশ্বের যারা ক্ষুধা-দারিদ্র্যে জর্জরিত, শোষিত-বঞ্চিত মানুষ তাদের কথাও তিনি (বঙ্গবন্ধু) বলেছেন।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তার যে লক্ষ্য ছিল সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এটাই ছিল ওনার জীবনের লক্ষ্য সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলা।’

বঙ্গবন্ধু সব সময় শান্তির সন্ধানে ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শান্তির জন্যই সংগ্রাম করেছেন। শান্তি ছাড়া কখনও কোনো দেশের উন্নতি হয় না। এটা আমরা নিজেরা খুব ভালো বুঝি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সব সময় উন্নতি হয়।’

বঙ্গবন্ধুর নামে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৃক্ষরোপণ এবং বেঞ্চ উৎসর্গ ছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী স্মৃতিফলকে বিশ্বের সব শহীদ শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্‌রিয়ার আলম, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

এ বিভাগের আরো খবর