বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খুঁড়িয়ে চলছে ঢাকা-পঞ্চগড় আন্তনগর

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৪৮

মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তনগর ট্রেনে যে পানি সরবরাহ করা হয়, সেটি ব্যবহার অযোগ্য। পানির মধ্যে যে পরিমাণ আয়রন তাতে হাত-মুখ ধোয়া যায় না। এ ছাড়া যাত্রীদের জন্যে বরাদ্দ সাবান, এয়ার ফ্রেশনার, অ্যারোসল কিছুই থাকে না।’

অনেক অপেক্ষার পর চালু হয়েছিল পঞ্চগড়-ঢাকা আন্তনগর ট্রেন সার্ভিস। যাত্রা শুরুর তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর সেবা পাওয়ার বদলে নানা ভোগান্তির শিকার হওয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে যাত্রীসেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।

আন্তনগর ট্রেনের নিয়মিত যাত্রী সমাজকর্মী মো. শাহজালাল বলেন, ‘রেলসেবা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিবছর হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে। সেই তুলনায় সেবার মান বাড়ছে না। পঞ্চগড় থেকে ঢাকার সর্বোচ্চ দূরত্বের এই রুটে যাত্রীদের জন্যে বরাদ্দ হওয়া সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার।’

মো. শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আন্তনগর ট্রেনে যে পানি সরবরাহ করা হয়, সেটি ব্যবহার অযোগ্য। পানির মধ্যে যে পরিমাণ আয়রন তাতে হাত-মুখ ধোয়া যায় না। এ ছাড়া যাত্রীদের জন্যে বরাদ্দ সাবান, এয়ার ফ্রেশনার, অ্যারোসল কিছুই থাকে না।’

যাত্রীদের অভিযোগের বিষয়ে পঞ্চগড় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আন্তনগর ট্রেন সার্ভিসের সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন যাত্রীরা। প্রতিনিয়ত এ স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। এতে আসনসংখ্যা বাড়ানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া যারা কালোবাজারে টিকিট বিক্রিতে জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’

পঞ্চগড় রেলস্টেশনের মেকানিক্যাল বিভাগের টিএক্সআর তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে মেকানিক্যাল সেকশনের জন্যে জরুরি অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় লোকবল নেই। অল্প লোকজন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যাত্রীসেবা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। করোনা মহামারির সময়ে রেলকোচের সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

দেশের রেলওয়ের সবচেয়ে দীর্ঘ রুট ঢাকা-পঞ্চগড় ৬৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। একনেকে অনুমোদনের পর ২০১০ সালে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পার্বতীপুর থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার মিটারগেজ রেলপথ ডুয়েল গেজে রূপান্তরের কাজ শুরু করে রেল মন্ত্রণালয়।

২০১৬ সালে রেলপথের আধুনিকায়ন শেষ হয়। পরে কোচ ও ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে কানেকটিং ট্রেন হিসেবে একটি শাটল ট্রেন চালু করেন রেলমন্ত্রী।

এ অঞ্চলের মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশিয়ান কোচ দিয়ে দুটি আন্তনগর ট্রেন চালু করা হয়।

বর্তমানে এই জেলা থেকে ঢাকা ও রাজশাহী রুটে চারটি আন্তনগর ট্রেন চলছে। পরে এই রেল বহরে যুক্ত হয় আরও দুটি ট্রেন।

আধুনিক রেল সার্ভিস চালুর পর উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর জেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক অবস্থা বদলাতে শুরু করে।

এ বিভাগের আরো খবর