বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বব্যাংকের প্রচ্ছদ গল্পে বাংলাদেশের উন্নয়ন

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০২:৩২

বিশ্ব ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গল্পে বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত তরুণ দেশটির স্বাধীনতার বয়স মাত্র ৫০। এই অল্প সময়ে দারিদ্র্য কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। মানুষের ভাগ্য বদলাতে একে বলা হচ্ছে বড় অর্জন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে মুগ্ধ বিশ্বব্যাংক। আর সেই মুগ্ধতা থেকে সোমবার একটি প্রচ্ছদ গল্প প্রকাশ করেছে বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল এই সংস্থাটি।

বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত গল্পে বলা হয়েছে, অপেক্ষাকৃত তরুণ দেশটির স্বাধীনতার বয়স মাত্র ৫০। এই অল্প সময়ে দারিদ্র্য কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। মানুষের ভাগ্য বদলাতে একে বলা হচ্ছে বড় অর্জন।

‘একটি লক্ষ্যে রাষ্ট্র: বাংলাদেশের উন্নয়নের ঐতিহাসিক যাত্রা’ শিরোনামের এই গল্পের শুরুটা সাদিয়া আফরিন নামের এক ছাত্রীর স্বপ্ন দিয়ে।

সাদিয়ার স্বপ্ন পেশাদার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হবেন। লক্ষ্যে পৌঁছাতে গ্রাফিক্স ডিজাইন, কার্টুন ও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করেছেন। অথচ সাদিয়াদের আগের প্রজন্মের কাছে এমন ভাবনা ছিল কল্পনাতীত।

সাদিয়ার বাবা সৌদি প্রবাসী, মা গৃহিনী।

সাদিয়া বলেন, ‘প্রথম কম্পিউটার দেখার পর ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তা চালানো শিখি।’

সেখানেই সাদিয়া প্রথম শেখেন কীভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কার্টুন তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন একদিন জাপান যাব, অ্যানিমেশন নিয়ে কাজ করব।’

সাদিয়ার মতো দেশের নিম্ন আয়ের ৪০ হাজার ছাত্রী বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইএফ) এর আওতায় ৪৫টি টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে উঠছেন। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে এই প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

সাদিয়ার কথা শেষ না হতেই গল্পে বাংলাদেশের জন্মের প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন এটি ছিল বিশ্বের দ্বিতীয় দরিদ্রতম দেশ। পরবর্তী ৫০ বছরে রূপান্তরের মাধ্যমে উন্নয়নের অনেক গল্প যুক্ত হয়েছে দেশটির ইতিহাসে।

সেই থেকে রেকর্ড গতিতে দেশের দারিদ্র্য কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। প্রাথমিক শিক্ষা এখন সবার নাগালে। লাখো নারী কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের বিষয়ে দারুন অগ্রগতি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশটি এখন অনেক দক্ষ।

বাংলাদেশের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে অনেক কিছু। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মানবসম্পদ উন্নয়নে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে দেশটি। শিল্প ও সেবা, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, অবকাঠামোসহ অন্য খাতেও বড় বিনিয়োগ হচ্ছে। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং অন্য সব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এখন অনেকটাই প্রস্তুত বাংলাদেশ।

এর ফলে দেশের অর্থনীতি মজবুত একটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান তৈরির ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের এই প্রচ্ছদ গল্পে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহতভাবে এগিয়ে চলছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে (উন্নত দেশ) পরিণত হওয়ার যে লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি তার জন্য এখন আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। আমরা সেই স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ করব।’

বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার কথা স্বীকার করে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক অবশ্যই আমাদের এই উন্নয়ন যাত্রায় একটি ভালো অংশীদার।’

গল্পে বাংলাদেশের এই সাফল্যে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার কথা বার বার উল্লেখ করা হয়। কোন খাতে কতো ঋণ-সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি সে বিষয়েও বিশদ আলোকপাত হয়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) মাধ্যমে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ঋণ-সহায়তা দিয়ে আসছে ১৯৭২ সাল থেকে।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশের প্রধান মার্শি টেম্বন বলেছেন, ‘যখন আমরা বাংলাদেশে কাজ শুরু করি তখন আইডিএ একটি তরুণ প্রতিষ্ঠান ছিল। আমরা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। এই সম্পর্ককে অনেক দূর নিয়ে গেছি; বাংলাদেশ সফল হয়েছে।’

‘সেই অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্য অনেক দেশে দারিদ্র্য কমাতে সহায়তা করেছে।’

গল্পে বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকগুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। চমৎকার সব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার হয়েছে গল্পে।

বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করে এমন কাহিনী বা গল্প এবারই প্রথম প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

এ বিভাগের আরো খবর