বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অপহরণ মামলায় কারাগারে মা-মেয়ে

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:২৫

রোববার বিকেলে ভ্যানচালক এনামুল পঞ্চগড় সদর থানায় ববি, রিংকি ও সফিকুলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলায় ববিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ববির দেয়া তথ্যমতে তার মেয়ে রিংকিকে শহরের শেরে বাংলা পার্ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পঞ্চগড় সদরে এক ভ্যানচালককে অপহরণের পর মারধর এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে এক নারী ও তার মেয়েকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই দুই নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ মিঞা।

সাজা পাওয়া দুই নারী হলেন আফরোজা আকতার ববি ও তার মেয়ে আফসানা মিমি রিংকি। তাদের বাড়ি সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের সোনারবান গ্রামের কাজির হাট এলাকায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার রাতে সদর উপজেলার জগদল এলাকার এনামুল হকের ভ্যানে করে কাজিরহাটে নিজ বাড়িতে যান ববি। ভ্যানের ভাড়া দেয়ার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে এনে এনামুলকে আটকে হঠাৎ মারধর শুরু করে ববি, তার স্বামী সফিকুল ইসলাম ও মেয়ে রিংকি।

তারা শর্ত দেন, ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে এনামুলকে ছেড়ে দেয়া হবে। এ সময় এনামুল ১০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে এনামুল তার অপহরণ ও মুক্তিপণের কথা পরিবারকে ফোনে জানান। বিষয়টি এনামুলের পরিবার পঞ্চগড় সদর থানায় জানায়। অন্যদিকে এনামুলের পরিবার টাকা দেয়ার বিষয়ে রাজি হওয়ার কথা ববিকে ফোনে জানায়।

রোববার ভোরে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে অমরখানা বোর্ড বাজার এলাকায় ওত পেতে থাকে সদর থানা পুলিশের একটি দল। এনামুলের ভ্যানে করে মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে পুলিশ আটক করে ববিকে।

ওইদিন বিকেলে এনামুল সদর থানায় ববি, রিংকি ও সফিকুলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ববিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার দেয়া তথ্যে রিংকিকে শহরের শেরে বাংলা পার্ক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ববির পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদক বিক্রি, মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে আসছিল।

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে এলাকাবাসী।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আবদুল লতিফ জানান, মামলার অন্য আসামি সফিকুল পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর