ডাক বিভাগের সেবাগুলোর মধ্যে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ সবচেয়ে সফল। ‘নগদ’ ২০২০-২১ অর্থ বছরে তাদের আয় থেকে ৩ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৭ টাকা ডাক বিভাগের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষ ডাক বিভাগের প্রাপ্য অংশের চেক হস্তান্তর করে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন ‘নগদ’-এর নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমের হাত থেকে চেকটি গ্রহণ করেন। এ সময় ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুসারে, ‘নগদ’-এর সেবা থেকে মোট আয়ের ৫১ শতাংশ ডাক বিভাগের প্রাপ্য। বাকি ৪৯ শতাংশ পায় ‘নগদ’ লিমিটেড। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছর ‘নগদ’ থেকে ডাক বিভাগ ১ কোটি ১২ লাখ টাকা আয় পেয়েছিল। শেষ হওয়া অর্থ বছরে যা বৃদ্ধি পেয়ে তিন গুণ হয়।
চেক গ্রহণের পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘ডাক বিভাগ ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড ২০১৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে নগদ সেবা চালু করে। সময় পরিক্রমায় নগদ এখন ভালো অবস্থায় পৌঁছেছে।’
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ১০ হাজার টাকা দিয়ে নগদ-এ লেনদেন শুরু করেন। যা এক সময় ক্যাশলেস সোসাইটি গড়তে বিশেষভাবে অবদান রাখবে।’
নগদ-এর নির্বাহী পরিচালক সাফায়েত আলম বলেন, ‘শুরু থেকে ডাক বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করছে নগদ। শেষ হওয়া বছরে ডাক বিভাগ যে আয় পেয়েছে তা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। আগামী দিনে দেশের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা নিয়ে আরও বেশি রাজস্ব দিতে পারবে।
ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে বাজারে আসার আড়াই বছরে দেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবার বাজারে বড় রকমের পরিবর্তন ঘটিয়েছে ‘নগদ’। ফলে সর্বনিম্ন ক্যাশ আউট চার্জসহ অত্যাধুনিক সব সেবা উপভোগ করতে পারছে দেশের সাধারণ মানুষ। যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো সময় যেকোনো মোবাইলে *১৬৭# ডায়াল করে কয়েক সেকেন্ডে খুলতে পারছে ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের ডাক বিভাগের সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক পোস্টাল ইউনিয়ন এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানসহ নয়টি দেশ ‘নগদ’-এর মডেল নিজ নিজ দেশের ডাক বিভাগে চালুর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।