বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ শতাংশ কর নয়: হাইকোর্ট

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৮:৫২

ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেয়।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কর আদায় আপাতত বন্ধ রাখতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের পক্ষে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ড. চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।

আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সরকার বাজেটের মাধ্যমে নতুন করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করেছে, সে বিষয়টি আমরা ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ করেছি। তখন আদালত আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল দিয়েছেন এবং ১৫ শতাংশ করের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আগেও একবার ১৫ শতাংশ কর আরোপ করেছিল। সেটা ছিল এসআরও মাধ্যমে। আর এখন এসআরও বাদ দিয়ে অর্থ বিলের মাধ্যমে নতুন করে আবার দিয়েছে। সেই আইনটাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করেছি। আদালত শুনানি নিয়ে আদেশ দেয়।’

১৫ শতাংশ হারে আয়কর আদায় থেকে আপাতত বিরত থাকতে নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ রিট করা হয়। রিটে আইনসচিব, অর্থসচিব, এনবিআরের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়।

বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ হলে উচ্চশিক্ষায় ব্যয় বাড়বে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা। কারণ বাড়তি করের বোঝা শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরই বহন করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের কর আরোপ উচ্চশিক্ষার ব্যয়ই শুধু বাড়াবে না, উচ্চশিক্ষার সুযোগকেও সংকুচিত করবে। ফলে সবার পক্ষে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অসম্ভব হয়ে পড়বে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা তো আইন মোতাবেক সরকার করতে পারে না। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে, যা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত। ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে যে প্রতিষ্ঠানগুলো চলে, সেখানে কর আরোপ করা যায় না। তাই এটি বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

প্রাইম ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষা কি কোনো পণ্য? তাহলে কেন বাজেটে বেসরকারি শিক্ষায় কর আরোপের প্রস্তাব করা হলো? এর ফলে আমরা যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, তারা তো উচ্চশিক্ষা গ্রহণই করতে পারব না।’

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র মেহেদী তালুকদার বলেন, ‘এর আগেও সরকার একবার এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। আমার ভাবতে অবাক লাগে সরকার কেন বারবার শিক্ষাকে পণ্য ভাবে?’

এ বিভাগের আরো খবর