ময়মনসিংহে কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা হোসেন আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
হোসেন আলী জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হলে বিচারক ইমাম হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক প্রসূন কান্তি দাস।
তিনি বলেন, কিশোরীর বাবার করা ধর্ষণ মামলায় হোসেন আলীকে গ্রেপ্তার দেখায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে আদালতে তোলে পুলিশ। তখন বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে রোববার রাত ১২টার দিকে নগরীর কৃষ্টপুর এলাকা থেকে র্যাব-১৪ এর একটি দল তাকে আটক করে। পরে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এ
ঘটনায় কিশোরীর বাবার করা ধর্ষণ মামলায় হোসেন আলীসহ তার তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগমকে আসামি করা হয়।
মামলার বরাত দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন বলেন,
নগরীর কৃষ্টপুর এলাকায় হোসেন আলীর বাড়ি। তার বাড়ির পাশে ভাড়া থাকত কিশোরীর পরিবার। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে হোসেন প্রায়ই কিশোরীর বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। এ সময় কিশোরীর সঙ্গে তার কথাবার্তা হতো। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি সকালে হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী তামান্না বেগম কিশোরীকে তাদের ঘরে ডেকে নেন। পরিকল্পিতভাবে কোমল পানীয়র সঙ্গে নেশাজাতীয় ওষুধ সেবন করান। পরে তাকে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরীকে টানা পাঁচ মাস ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে ঘটনাটি কিশোরী তার মাকে জানালে মান-সম্মানের ভয়ে তারা ভাড়া বাসা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু হোসেন আলী সেখানেও সন্ত্রাসীদের নিয়ে মহড়া দেন। পরে কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার হুমকি দেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, গ্রেপ্তার হোসেন আলীকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হলেও মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।