বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দূষিত পানি: হাইকোর্টে পরিকল্পনা জানাবে ওয়াসা

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৫:০৬

ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ কিংবা পানি পানের উপযোগী না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সংস্থাটির পানি দিয়ে এমডিকে শরবত পান করাতে গিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন মিজানুর রহমান নামের এক অধিকারকর্মী।

দূষিত পানি রোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তা হাইকোর্টকে জানাবে ওয়াসা।

আগামী ২ নভেম্বর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে ওয়াসা তাদের পরিকল্পনা জানাবে।

ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ কিংবা পানি পানের উপযোগী না থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সংস্থাটির পানি দিয়ে এমডি তাকসিম এ খানকে শরবত পান করাতে গিয়ে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন মিজানুর রহমান নামের এক অধিকারকর্মী।

দূষিত পানি নিয়ে করা রিটের আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আজ শুনানির জন্য মামলাটি তালিকায় আসে। এরপর আদালতে বলেছি, ২ বছর ধরে তারা কী করেছে, দূষিত পানি রোধে ওয়াসা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, নিচ্ছে এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী- এসব বিষয় উপস্থাপনের পর ওয়াসা জানিয়েছে, তারা আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়গুলো আদালতকে জানাবে।’

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠনের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।

পানি পরীক্ষায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে ৮টিতে ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই সময় ওয়াসার আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম বলেছিলেন, সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর জোন-১ ও জোন-৪-এর একটি এবং পাতলা খান লেনে পাওয়া একটি নমুনায় যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়, তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। সেই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো ফেকেল ও ই-কোলাই।

প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন ব্যারিস্টার মাসুম।

এ বিভাগের আরো খবর