কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সাক্ষ্য গ্রহণ।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নির্ধারিত সাক্ষীরা হাজির হন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তৃতীয় ধাপে চার সাক্ষী আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তারা হলেন, মো. আবদুল হামিদ, ফিরোজ মাহমুদ, শওকত আলী ও সার্জেন্ট মো. আয়ুব আলী। তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। এ সময় আসামিরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে নির্ধারিত প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে সাত দিনে ছয় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
পরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ ঘোষণা করেন বলে জানান মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফরিদুল আলম।
এর আগে দুই ধাপে ধার্য তারিখে সাক্ষ্য দেয়া ছয়জন হলেন, সিনহা হত্যা মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও প্রত্যক্ষদর্শী সাইদুল ইসলাম সিফাত, টেকনাফের মিনা বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলী, সিএনজি চালক কামল হোসেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশের মসজিদের হাফেজ মুহাম্মদ আমিন ও শামলাপুর চেকপোস্টসংলগ্ন বায়তুল নূর জামে মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলাম।
সাক্ষ্য গ্রহণের পরপরই ওসি প্রদীপ কুমার দাশের আইনজীবী রানা দাশ গুপ্তসহ ১৫ আসামির পক্ষে ১২ জন আইনজীবী তাদের জেরা সম্পন্ন করেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকতসহ ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসী।
২৭ জুন মামলার ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছেন। এর মধ্যে ১২ আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সন্তোষ বড়ুয়া জানান, চলতি বছরের ২৭ জুন জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল মামলাটির অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
এরপর করোনায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিছিয়ে যায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ। পরে ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। সমন জারি করা ১৫ জনের মধ্যে সব সাক্ষীই আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। এ মামলায় ৮৩ জন চার্জশিটভুক্ত সাক্ষী রয়েছেন।