অস্ত্র আইনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের শাস্তি হবে কিনা তা জানা যাবে আজ।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রবিউল আলম সোমবার দুপুরে মামলাটির রায় ঘোষণা করবেন বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
রায়ে আসামি মালেকের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন হাওলাদার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্র পক্ষ সক্ষম হয়েছে। তাই এই মামলায় আসামির সর্বোচ্চ সাজা আশা করছি।’
মালেকের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম অনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। আশা করছি, তিনি খালাস পাবেন।’
তার দাবি, মামলার অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত ১৩ জন সাক্ষীর সবাই হাজির হয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিলেও সে সাক্ষ্য ১৩ রকমের হয়েছে। কোনো সাক্ষী গুছিয়ে কিছু বলতে পারেন নাই। জেরাতে সব সাক্ষীই বিতর্কিত হয়েছেন।
মালেকর আইনজীবী বলেন, ‘অনেক সময় তাদের সাক্ষ্য দেয়ার ধরন দেখে বিচারক নিজেই অবাক হয়েছেন। তাই এই মামলায় সাজা হওয়ার মত কোনো উপাদান নাই বলে আমি মনে করি।
‘এই মামলায় অস্ত্র উদ্ধার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এজাহার গ্রহণ, তদন্ত প্রক্রিয়াসহ প্রতিটি ধাপ বিতর্কিত। তাই এই মামলায় আসামি মালেক খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছি।।’
গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান আব্দুল মালেক।
এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনেরই সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।
ঢাকার এক নম্বর মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর মামলার অবশিষ্ট অংশ বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়।
মালেকের বিরুদ্ধে গত ১১ মার্চ চার্জ গঠন করে আদালত। এর আগে গত ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মেহেদী হাসান চৌধুরী মালেকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন।
অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।