ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভায় কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, প্রার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ভোট। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটার উপস্থিতি সকাল থেকে কম দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা করছেন নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আবু নাসের অভিযোগ করেন, বাইরে নিরাপত্তা জোরদার থাকলেও কেন্দ্রের ভেতরে একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টসহ অন্য এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বহিরাগত সমর্থকরা ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা দিচ্ছে। একই অভিযোগ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ইমাম উদ্দিন ভূঁইয়ার।
অন্যদিকে সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের হিজবুল্লাহ অভিযোগ করেন, তিনি সকালে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সরকারদলীয় সমর্থকরা তাকে লাঞ্ছিত করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
এ ছাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী অভিযোগ করেন নির্বাচনী কেন্দ্রের ভেতর পরিবেশ ভালো থাকলেও বাইরে সরকারদলীয় সমর্থকরা তার সমর্থকদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
সোনাগাজী পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যাদের কোনো ভোটার নেই তারা এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোনাগাজী পৌরসভায় মোট ভোটার ১৫ হাজার ৯৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ১২৭ জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ৮৫৮ জন। ৯টি কেন্দ্রের ৪৯টি বুথে ভোটাররা তাদের ভোট প্রয়োগ করছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাসের, শেখ সেলিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মাওলানা হিজবুল্লাহ।
আর ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৪ জন।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক স্ট্রাইকিং ফোর্স।