বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৫৪

জুন শেষে ফান্ডের আর্থিক স্বাস্থ্যের কোনো হানি হয়নি এই লভ্যাংশের কারণে। কিন্তু আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বড় পতনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সব ফান্ডই।

দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে হতাশা কাটিয়ে যখন উচ্চাশা তৈরি হয়েছিল, সে সময় লভ্যাংশের রেকর্ড ডেটের পর মূল্য পতন আবার সেই হতাশার বৃত্তে নিয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের।

যে ফান্ড বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের দরপতনও তুলনামূলক বেশি হয়েছে, যার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

বাজারে মোট ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে। এর মধ্যে জুনে অর্থবছর শেষ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২৯টি। এই লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছর শেষে হাতে থাকা নগদ টাকার ভিত্তিতে।

অর্থাৎ জুন শেষে ফান্ডের আর্থিক স্বাস্থ্যের কোনো হানি হয়নি এই লভ্যাংশের কারণে। কিন্তু আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বড় পতনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সব ফান্ডই।

আর এই দরপতনের ক্ষেত্রে আরও একটি ঘটনা ঘটছে, যেটি বিস্ময়করই বটে।

যেমন- ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া পপুলার ফার্স্ট ও পিএইচপি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রেকর্ড ডেট শেষে দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা। আগের দিন যে দাম ছিল, তাতে এর চেয়ে বেশি কমতে পারত না দাম।

অন্যদিকে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া এফবিএফআইএফ দর হারিয়েছে ৪০ পয়সা।

রোববার রেকর্ড ডেট শেষে লেনদেন শুরু করা ১০টি ফান্ডের সব এভাবে দর হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯০ পয়সা করে দর কমেছে ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এই দুটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।

রেকর্ড ডেটে দুটি ফান্ডের দাম ছিল যথাক্রমে ৯ টাকা ৭০ পয়সা ও ৯ টাকা ৪০ পয়সা। এক দিনে কমতে পারত সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, কমেছেও সেটাই।

পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ দুই ধরনের হয়ে থাকে। বোনাস শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ। যতটুকু বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়, রেকর্ড ডেট শেষে সেই পরিমাণ দাম আগেই সমন্বয় করে দেয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ, কিন্তু নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় করা হয় না কখনও।

তার পরই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এই নগদ লভ্যাংশও কার্যত সমন্বয় হয়ে যাওয়ায় লভ্যাংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের আসলে কোনো মুনাফা থাকছে না।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার এর কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমে আসার কারণ হচ্ছে, সারা বছর এ খাতের ইউনিটের দুরবস্থা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে মূলত লভ্যাংশ দেবার সময় এসেছে এ জন্য। ফলে ভালো লভ্যাংশ দেবে এমন প্রত্যাশায় বেশ কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডে নতুন বিনিয়োগ হয়।

‘তবে বেশির ভাগ ইউনিট হোল্ডার লভ্যাংশ না নিয়েই ইউনিটপ্রতি মুনাফা হলেই বিক্রি করে বের হয়ে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে এখানে নতুন করে কোনো বিনিয়োগ হয় না। যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন তারাই শুধু এখানে থাকেন।’

‘তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম ওঠা-নামার সঙ্গে লভ্যাংশের খুব বেশি সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। এটাই হয়তো একটা কারণ।’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার মিজানুর রহমান আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই চিত্র হয়তো থাকবে না। তিনি বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো যদি ইউনিটধারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রিটার্ন দিতে না পারে, তাহলে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না। তবে এখন আসছে। সর্বশেষ অর্থবছর বিবেচনায় সিংহভাগ মিউুচ্যয়াল ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, এ খাতে নতুন বিনিয়োগ আসবে।’

বেশি লভ্যাংশ দিয়ে বেশি পতন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে ইউনিটপ্রতি সবচেয়ে বেশি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে এনএলআই মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৮ আগস্ট। সেদিন দর ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

পরের দিন এক দিনেই দাম কমে ১ টাকা ৬০ পয়সা। দাম দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। পরে আরও কমে রোববার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ নেয়ার পর একেকটি ইউনিটের দাম পড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা।

এসইএমএল লেকটার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ইউনিটধারীদের ২০২১ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২ সেপ্টেম্বর।

সেদিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। পরদিন দর কমে হয় ১১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমে ৮০ পয়সা।

সে সময় ৭০ পয়সা মুনাফা হলেও পরে তা আর থাকেনি। কারণ এরপর থেকে দাম আরও কমছে। রোববার ফান্ডটির একেকটি ইউনিট লেনদেন শেষ করেছে ১০ টাকা ৪০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ দিতে গিয়ে বিনিয়োগকারী খুইয়েছেন ২ টাকা ১০ পয়সা।

ইউনিটধারীদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড। এর লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটও ছিল ২ সেপ্টেম্বর।

সেদিন ইউনিট মূল্য ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের পর সার্কিট ব্রেকারের নিম্নতম সীমা অনুযায়ী দাম কমে ১ টাকা ২০ পয়সা। এরপর আরও কমে রোববার লেনদেন শেষ করে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়ে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারী ইউনিটপ্রতি মূল্য হারিয়েছেন ১ টাকা ৬০ পয়সা।

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডে ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা লভ্যাংশ নেয়ার রেকর্ড ডেট ছিল ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

রেকর্ড ডেট শেষে প্রথম দিন কমে ১ টাকা ৩০ পয়সা। পরে আরও কমে রোববার দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা লভ্যাংশ নিয়ে দুই টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারী।

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা লভ্যাংশ নিয়েও লাভবান হয়নি বিনিয়োগকারীরা।

ফান্ডটি লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের দিন দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। রোববারের দর ১৭ টাকা ৮০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ৩৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়ে একেকজন খুইয়েছেন ১ টাকা ৭০ পয়সা।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিটধারীরা ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ নিতে গিয়ে খুইয়েছেন ১ টাকা ৫০ পয়সা।

৮ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার দাম কমে দাঁড়ায় ১১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কমেছে দেড় টাকা।

ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা।

১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ নিতে গিয়ে বিনিয়োগকারীর এখন পর্যন্ত লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। রোববার ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা।

সমপরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও একই দশা। রেকর্ড ডেট ১ সেপ্টেম্বর ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ নিয়ে একেকজন হারিয়েছেন ১ টাকা ৫০ পয়সা।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০২১ সালে ইউনিটধারীদের জন্য ১৩ শতাংশ বা ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৬ সেপ্টেম্বরে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার দাম ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকারের কারণে ৯০ পয়সার বেশি কমার সুযোগ ছিল না।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও একই অবস্থা। ইউনিটধারীদের ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ১ টাকা ৩০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফান্ডটি। রেকর্ড ডেট ১৬ সেপ্টেম্বর ইউনিটপ্রতি দর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা।

রেকর্ড ডেট শেষে সার্কিট ব্রেকারের নিম্নতম সীমা অনুযায়ী কমতে পারত ৯০ পয়সা, কমেছেও তা।

ইউনিটপ্রতি ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকারের কারণে কমার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। কমেছে তাই। রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।

৮৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী কমার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও ততটাই। রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।

একই পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা। রেকর্ড ডেট শেষে সার্কিট ব্রেকারের নিম্ন সীমা ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। এই একটি দামেই লেনদেন হয়েছে দিনভর।

৮০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী কমতে পারত সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও তাই।

রেকর্ড ডেটে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। কমার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও তাই।

ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা। কমার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। তবে কমেছে ৬০ পয়সা।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এফবিএফআইএফের লভ্যাংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের কার্যত কোনো মুনাফা হয়নি।

৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া প্রথম ফান্ডের দাম কমেছে সমপরিমাণ, আর ইউনিটে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া দ্বিতীয় ফান্ডের দাম কমেছে ৪০ পয়সা।

আইসিবির ৮ ফান্ডে মুনাফা

এবার চাঙা পুঁজিবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো মুনাফা করতে না পারার পর লভ্যাংশ দিয়েছে তুলনামূলক কম। তবে লভ্যাংশ যারা নিয়েছেন, তারা অতটা হতাশ নন। এর কারণ একটির ইউনিট মূল্য লভ্যাংশের পর বেড়েছে। বাকিগুলোর কমলেও এতটা কমেনি যে লভ্যাংশ হিসাব করলে লোকসান হবে।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা অবশ্য ব্যাপক মুনাফা করেছেন। ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ নিয়ে রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা। রোববার দাম ছিল ১৫ টাকা। অর্থাৎ লভ্যাংশ নেয়ার পরও দাম বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ফান্ডটির ইউনিটধারীরাও মুনাফা পেয়েছেন। রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ পয়সা কমে এখন দাম ৭ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা মুনাফায় আছেন বিনিয়োগকারীরা।

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। রোববার দাম ৮ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমেছে ৪০ পয়সা। এই ফান্ডেও ইউনিটপ্রতি মুনাফা আছে ৩০ পয়সা।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। রোববার দাম দাঁড়ায় ৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমেছে ২০ পয়সা।

সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরাও ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা মুনাফায় আছেন।

ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ফান্ডটির ইউনিটধারীদেরও মুনাফা হয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা। রোববার দাম ৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিয়েছেন, তাদের অন্তত লভ্যাংশের ৫০ পয়সা মুনাফা আছে।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ফান্ডের রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা, রোববার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিট-মূল্য কমেছে ৩০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর