বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মজুত কোটির বেশি, এসএমএসের অপেক্ষায় অর্ধকোটি

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২৩:২২

দেশে টিকা পেতে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে টিকা পেয়েছেন ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৩২ জন। এই হিসাবে নিবন্ধন করেও টিকা পেতে অপেক্ষায় আছেন ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৯ জন।

দেশে এখন পর্যন্ত যারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে অর্ধকোটির বেশি মানুষ টিকা পাননি। নিবন্ধনের দুই মাসের বেশি সময় পরও পাচ্ছেন না টিকার এসএমএস।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে রোববার দেশের সবশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম। এ সময় টিকাবিষয়ক তথ্যও জানান তিনি।

নাজমুল বলেন, টিকা পেতে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটি ২৩ লাখ ৭১ হাজার ৫৪১ জন। এর মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৩২ জন। এই হিসাবে নিবন্ধন করেও টিকা পেতে অপেক্ষায় আছেন ৫৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়, টিকা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৪ কোটির বেশি মানুষ। এ ছাড়া পাসপোর্টের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৭ জন।

গণমাধ্যমকর্মী আজহারুল ইসলাম টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ২ আগস্ট। এখনও এসএমএস পাননি। কবে পাবেন জানেনও না। হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘শুনেছি লাখ লাখ টিকা আসছে, এরপরও এসএমএস পাচ্ছি না।’

করোনা সংক্রমণের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি দেখে টিকা পেতে নিবন্ধন করেন গণমাধ্যমের আরেক কর্মী রাকিব খান। তার দশা আজহারুল ইসলামের মতোই। দেড় মাস হলো এসএমএস নেই।

আক্ষেপ করে রাকিব খান বলেন, ‘কবে যে টিকার এসএমএস আসবে। ভিড় এড়াতে এবং দ্রুত সময়ে টিকা নিশ্চিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল কেন্দ্রে টিকার নিবন্ধন করেছিলাম। তবে এখনও টিকা পাইনি। যতদূর জানি, দেশে টিকার অভাবও নেই। এরপরও এসএমএস পাচ্ছি না।’

দেশে এখন পর্যন্ত টিকা এসেছে ৪ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ৮০ ডোজ। এর মধ্যে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৩২ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। সরকারের হাতে টিকা মজুত আছে ১ কোটি ২৮ লাখ ৪১ হাজার ২৪ ডোজ। আগামী সপ্তাহে চীনের সিনোফার্ম থেকে আরও ৫০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে।

টিকার পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও এসএমএস পাঠাতে দেরি কেন, এমন প্রশ্ন রাখা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের কাছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এক কেন্দ্রে দৈনিক ২০০ জনের টিকা দেয়ার সক্ষমতা থাকলেও নিবন্ধন ১ হাজারের বেশি মানুষ। সে ক্ষেত্রে এসএমএস আসতে একটু দেরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে টিকা নিবন্ধনের বয়স কমিয়ে আনার পর থেকেই ব্যাপক হারে টিকার নিবন্ধন করছে মানুষ। নিবন্ধনের তালিকা অনেক লম্বা ছিল, এটি আস্তে আস্তে কমে আসছে।’

জট কমাতে বড় পরিসরে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যদি সিদ্ধান্ত হয় তাহলে পরে জানাতে পারব।’

নিবন্ধনকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘একটু দেরি হলেও সবাই টিকা পাবেন।’

দেশে করোনা প্রতিরোধে গ্রামে গ্রামে টিকার ক্যাম্পেইন করা হয়েছিল গত ৭ আগস্ট। সেই সময়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ টিকা পেতে নিবন্ধন করেন। সরকারের পরিকল্পনা ছিল এক সপ্তাহে ১ কোটি টিকা দেয়ার। টিকার মজুত সীমিত থাকার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শনিবার এক দিনে ৫ লাখের অধিক মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬ হাজার ২২৭ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১ হাজার ২২০ জনকে।

সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে সিনোফার্মের টিকা। এই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮৬ হাজার ৫৪২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৫১৬ জন। আর মডার্নার টিকা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪ হাজার ২৪৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১২ হাজার ২৮৮ জনকে।

মহামারি প্রতিরোধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গণটিকাদান শুরু করে সরকার। দেশের মোট ৮০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিনা মূল্যে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। টিকাসংকটের কারণে মে মাসে নিবন্ধন-প্রক্রিয়া স্থগিত করা হলেও ৮ জুলাই থেকে নিবন্ধন পুরোদমে চলছে। এর মধ্যে কয়েক দফা কমিয়ে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ৫১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর