আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করায় ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আশরাফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
আদেশের বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করে আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ নিউজবাংলাকে বলেন, করোনা মহামারির অজুহাত দিয়ে রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রহিমা খাতুনসহ ১০ জনকে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর অব্যাহতি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
একরামুন্নেছা স্কুল কর্তৃপক্ষের আইন বহির্ভূতভাবে শিক্ষকদের অব্যাহতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেন শিক্ষকেরা। কিন্তু শিক্ষাবোর্ড তাদের সেই আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় আট শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ১০ মাসেও আবেদনটি নিষ্পত্তি না করায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা অভিযোগ করা হয়।
আদালত শুনানি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননায় কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ নিউজবাংলাকে বলেন, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল রামপুরা একরামুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এই শিক্ষকদের বেতন হতো স্কুলের আয় থেকে। করোনার সময় তাদেরকে এক টাকাও দেয়া হয়নি। হঠাৎ করেই গত বছরের সেপ্টেম্বরে করোনার অজুহাত দেখিয়ে ১০ শিক্ষককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এটা ছিল সম্পূর্ণ অমানবিক।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মিলে নতুন করে একটি নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্য এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুরানো শিক্ষকদের বিদায় দিয়ে নতুন করে আবার নিয়োগ বাণিজ্য করার জন্যই মূলত এটি করেছে বলে অভিযোগ করেন রিটকারিদের এই আইনজীবী।