প্রাথমিকের শিক্ষকসহ অন্যান্য নিয়োগ শিগগির শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংসদ ভবনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে রোববার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষার্থীর অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকসহ অন্যান্য সহায়ক জনবল সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলমান বলেও মন্ত্রণালয় জানায়।
সংসদ সচিবালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন শূন্যপদের বিপরীতে এবং ছাত্রসংখ্যার অনুপাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকসহ অন্যান্য সহায়ক জনবলের বিপরীতে পদ সৃজন ও নিয়োগ-প্রক্রিয়া চলমান আছে। শিগগির নিয়োগ-প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।
ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে যেসব বিদ্যালয়ে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা নেই, সেসব বিদ্যালয় নির্বাচিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টেন্ডার-প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে কমিটি পুনরায় সুপারিশ করেছে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জাতীয়করণ করা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক এখনও বেতন পাননি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের বেতন নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়। এ ছাড়া সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার (এডিপিও) পদে কর্মরতদের দ্রুত পদোন্নতি দিতে কমিটি সুপারিশ করেছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছেন, তাদের মেধা দেশের অন্য উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো যায় কি না, তা বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
সংসদীয় কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য মেহের আফরোজ, আলী আজম ও মোশারফ হোসেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।