শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকা দেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র মৈত্রীর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় আহত হয়ে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছাত্র মৈত্রীর নেতা-কর্মীরা সচিবালয়ের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। সচিবালয়ের ৫ নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় তখন পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেয়। এ সময় কয়েকজন কর্মী ব্যারিকেড সরানোর পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। পরে পুলিশের বাধায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।
ছাত্র মৈত্রী দাবি করেছে, নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে ফেললে পুলিশ হামলা চালায়। তখন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ খান, ইয়াতুন্নেসা রুমা, সাংগঠনিক সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, ক্রীড়া সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝরা, ঢাকা মহানগরের মালা আক্তার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নেতা জুবায়ের আহমেদ আহত হন। আহত ৬ জন নেতা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শতভাগ শিক্ষার্থীকে করোনার টিকা দেয়া, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া, ন্যূনতম ৫০ শতাংশ বেতন ও সেমিস্টার ফি মওকুফ করাসহ বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র মৈত্রী সচিবালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, আহত ৬ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ভর্তি করা হতে পারে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাহবাগ থানার প্যাট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বলেন, ‘ব্যারিকেড সরাতে গিয়ে কেউ আহত হতে পারেন। পুলিশ সেখানে হামলা করেনি।’