বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অ্যাসিড ছুড়ে, ঘাড় মটকে ভাইকে হত্যা

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২১:০৫

পিবিআই বলছে, গত ২৬ জুলাই রাতে স্বপন মিয়াকে হত্যা করে তারই ছোট ভাই রিপন মিয়া ও তার সঙ্গীরা। ২৮ জুলাই স্বপনের লাশ উদ্ধার হয়। পরের দিন ভৈবর থানায় মামলা করেন রিপন। মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।

পারিবারিক জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও মাদক সেবনে বাধা দেয়ার বড় ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। হত্যার দায় অন্যের ওপর চাপাতে ছোট ভাই হন মামলার বাদী। তবে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত বলছে, বাদী রিপন মিয়া বড় ভাই স্বপন মিয়াকে হত্যা করেছেন।

হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে।

সংস্থাটির তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, গত ২৬ জুলাই রাতে স্বপন মিয়াকে হত্যা করে তারই ছোট ভাই রিপন মিয়া ও তার সঙ্গীরা। ২৮ জুলাই স্বপনের লাশ উদ্ধার হয়। পরের দিন ভৈবর থানায় মামলা করেন রিপন। মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই।

পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউছুফ জানান, স্বপনকে হত্যার পর রিপন বাদী হয়ে ৩ জনকে সন্দেহভাজন আসামি উল্লেখ করে মামলা করেন।

পিবিআই জানায়, রিপন নিজে উপস্থিত থেকে অন্য আসামিদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বড় ভাইকে প্রথমে অ্যাসিড মারেন। শরীর ঝলসে গেলে স্বপন দৌড়ে গিয়ে বিলের পানিতে নামেন। তখন রিপনসহ অন্য আসামিরা স্বপ্নকে পানির নিচে চেপে ধরেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার ঘাড় মটকে দেন রিপন।

আবু ইউছুফ জানান, স্বপন মিয়ারা ৪ ভাই ও ১ বোন। ভাইদের মধ্যে স্বপন স্থানীয় বাজারে চা বিক্রেতা। রিপন ২-৩ বছর আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন। ফিরে মাছের খামারসহ কৃষি জমি আবাদ করতেন তিনি।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (পিবিআই) শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ সেপ্টেম্বর রিপন মিয়া, আব্দুর রব, ইমান আলী, সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিপন তার ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

পিবিআই জানায়, রিপন নিয়মিত তার বন্ধুদের সঙ্গে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করতেন। স্বপনের সঙ্গে তার পৈতৃক জমিজমা বণ্টন নিয়ে বিরোধ ছিল। রিপনকে মাদক সেবন ছাড়াতে বাধা দিতেন। এসব কারণে স্বপনকে মেরে প্রতিশোধ নিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

হত্যার পর আসামিরা মিলে স্বপনের লাশ ঘটনাস্থল থেকে ৫০-৬০ গজ দূরে নিয়ে একটি কালভার্টের নিচে রেখে আসেন। সেখান থেকেই দুদিন পর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানায়, স্বপনকে হত্যার পরিকল্পনা করার সময় আসামি সবুজকে পাঁচ হাজার টাকা দেন রিপন। এ ছাড়া ‘অপারেশন সফল’ হলে প্রত্যেক আসামিকে খুশি করে দেয়ার কথা বলেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর