বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালেদা জিয়ার মুক্তির শর্তে নাখোশ ফখরুল

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৫

‘তিনি (খালেদা জিয়া) যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য একটা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেটা দেয়নি। এবারও সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বিদেশ যেতে পারবেন না বলে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। মূল বিষয় হচ্ছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা (সরকার) এত বেশি ভয় পান… এজন্য তাকে দেশের বাইরে যাওয়া অথবা মুক্ত করার বিষয়টা ভাবতেই পারেন না।’

বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস যে শর্তে বাড়ানোর আদেশ এসেছে, তাতে নাখোশ হয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে চতুর্থবারের মতো।

রোববার সরকারি এই আদেশে শর্ত হিসেবে উল্লেখ আছে, তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ যখন খালেদা জিয়ার দণ্ড প্রথমবারের মতো স্থগিত করা হয়, তখন শর্ত আরও একটি ছিল। বলা ছিল, তিনি বাসায় চিকিৎসা নেবেন। তবে গত এপ্রিলে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এই শর্ত আর থাকেনি। তিনি এখন তার ইচ্ছামতো যে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

বিএনপি নেত্রীর এই সাময়িক মুক্তি হয়েছে তার স্বজনদের আবেদনে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকেই তিনি কারাগারে যান। পরে উচ্চ আদালত এই সাজা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে। পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড।

আদালতের লড়াইয়ে বিএনপি ব্যর্থ হওয়ার পর বিএনপি নেত্রীর স্বজনরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যান। আর তিনি মানবিক কারণে তার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করেন।

সরকারের আদেশ জারি হওয়ার পর বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) যখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনও পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশ যাওয়ার জন্য একটা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেটা দেয়নি। এবারও সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হলেও বিদেশ যেতে পারবেন না বলে একটা শর্ত জুড়ে দিয়েছে।

‘মূল বিষয় হচ্ছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা (সরকার) এত বেশি ভয় পান… এজন্য তাকে দেশের বাইরে যাওয়া অথবা মুক্ত করার বিষয়টা ভাবতেই পারেন না। চিকিৎসক এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন বলছে বেগম জিয়ার উন্নত ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন তখন সরকারের অনুমতি দিচ্ছে না তাকে আটকে রেখেছে।’

শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে বিভ্রান্ত করার লক্ষ্যেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার সমাধি সম্পর্কে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।

‘মূলত জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে দৃষ্টির আড়ালে রাখার একটি ষড়যন্ত্র করছে সরকার। এভাবে ইতিহাস বিকৃত করে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।

‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিকৃত অপপ্রচার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ব্যতীত কিছু নয়।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর