গুণগত মান ও আকার ঠিক না রেখে ইট উৎপাদন করা হলে ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে রোববার সকালে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশের সব রাস্তা ও ভবন নির্মাণে গুণগত মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইট সরবরাহ নিশ্চিত করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ভবন নির্মাণ করা হবে, এসব যদি গুণগত মানসম্পন্ন অর্থাৎ টেকসই করা সম্ভব না হয়, সেটা হবে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। প্রয়োজনীয় নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার পরও গুণগত মানের সামান্য ত্রুটির কারণে ভবন বা যেকোনো কনস্ট্রাকশন টেকসই হয় না।
‘আমরা যদি মানসম্পন্ন ও স্ট্যান্ডার্ড সাইজের ইটসহ অন্যান্য উপাদান নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে কাজগুলো টেকসই হবে। গুণগত মান নিশ্চিত করে ইটসহ নির্মাণসামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে কি না, তা তদারকি ও নিয়মিত পরিদর্শন করার জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সক্রিয় হতে হবে। গুণগত মান ও আকার ঠিক না করে ইট উৎপাদন করা হলে ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দেশের সব রাস্তা ও ভবন নির্মাণে মানসম্পন্ন ইট সরবরাহ নিশ্চিতে সভা করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রী বলেন, ‘বিটুমিন, ইট, বালুসহ নির্মাণে প্রয়োজনীয় উপাদান ঠিক আছে কি না, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় এলজিইডির টেস্টিং ল্যাব আছে। এ ছাড়া অন স্পটে নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে মোবাইল ল্যাবরেটরিও আছে। এগুলোকে আরও অধিক কার্যকর করতে হবে।’
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে রাস্তা ও ভবন নির্মাণে পরিবেশবান্ধব ইটের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। যেসব ইটভাটার মালিকরা সহযোগিতা করবেন, তাদের বিভিন্নভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে। যারা নির্দেশনা মানবেন না, তারা শাস্তির মুখে পড়বেন।
‘এলজিইডির সব রাস্তা, ব্রিজ এবং অন্যান্য অবকাঠামো টেকসই করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডিজাইনে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। দেশের সব পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত রাস্তাগুলোকে আইডিভুক্ত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।