বাংলাদেশের অর্জন পদ্মা সেতু ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে যাচ্ছে। দেশের অর্থায়নে নির্মাণাধীন এই সেতুর প্রতি ভালোবাসা কোটি মানুষের।
ঢাকার ধামরাইয়ের এক শিক্ষার্থীও ভালোবাসা থেকে কয়েক মাস আগে নিজ হাতে মাটি দিয়ে গড়েছিলেন পদ্মা সেতুর অবয়ব। হুবহু পদ্মা সেতুর নকশার আদলে তৈরি সোহাগের নান্দনিক পদ্মা সেতুটি তার বাড়িতেই।
কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে ডুবতে বসেছে তার সেতুটি। পাঁচ মাস ধরে তৈরি করা কষ্টের পদ্মা সেতু তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় দিন কাটছে সোহাগের।
উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ ও মাটির তৈরি পদ্মা সেতুটির চারপাশ পানিতে তলিয়ে গেছে। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটির মাঝখানে পানি জমে গেছে।
মাটি থেকে ২ ফুট উচ্চতার সেতুটির কাছাকাছি উঠে গেছে পানি। সেতুর দুই পাশের সংযোগ সড়ক এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে।
সোহাগের মতে, মূল পদ্মা সেতুর এলাকা হিসেবে তার বানানো সেতুটির শরীয়তপুরের অংশ ডুবে গেছে।
শিক্ষার্থী সোহাগ হোসেন নিউজবাংলাকে বলে, ‘অনেক কষ্ট কইরা পাঁচ মাস ধইরা আমি সেতুটা বানাইছিলাম। সেতুটা বানাতে বাঁশ আর মাটি ব্যবহার করছি।
‘গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি এলাকায় ঢুকতেছে। আমাদের বাড়ির সামনেও পানি আইসা পড়ছে। আমার সেতুটার ১০ ফুটের মতো দৈর্ঘ্যের জায়গা পানিতে তলায় গেছে।’
সে আরও বলে, ‘পানি যদি আর একটু বাড়ে তাইলে পুরা সেতুটাই তলায় যাইব। মাঝখানের স্প্যানের তিনটা পিলার যাতে খুইলা না পড়ে, এই জন্য আমি ইটা দিয়া ঠ্যাকা দিয়া রাখছি।’
সোহাগ আক্ষেপ করে বলেন, ‘চোখের সামনে আমার কষ্ট কইরা বানানো পদ্মা সেতুটা ডুইবা যাইতে দেইখা খুব খারাপ লাগতেছে। পানি আটকানোর কোনো উপায় নাই। এখনো প্রতিদিন মানুষজন পানি ভাইঙ্গা আমার পদ্মা সেতুটা দেখতে আইতাছে।’