বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী কেনার সিদ্ধান্ত

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৯:০৮

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নতমানের লেডার কেনা হবে। যে কোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে।’

দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বাড়াতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার জীবন রক্ষাকারী উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার মিরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ে এক সচেতনতামূলক মহড়ায় অংশ নিয়ে এ কথা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার উদ্ধার সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি ক্রয় করা হবে। বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোর জন্য ৬৫ ও ৫৫ মিটার উচ্চতায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর লক্ষ্যে ১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নতমানের লেডার কেনা হবে।

‘যে কোনো দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে উন্নত দেশের মত সক্ষমতা অর্জনে সরকার কাজ করছে,’ যোগ করেন তিনি।

রোববার মিরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ভূমিকম্প এবং অগ্নিকাণ্ডে করণীয় বিষয়ে এক সচেতনতামূলক মহড়ায় বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘সচেতনতা এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পূর্বপ্রস্তুতি থাকলে যেকোনো দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে কাজটাই করে যাচ্ছে।

‘২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী ও বুলবুল এবং ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এসব ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের পূর্বপ্রস্তুতি থাকায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে। এবছর ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায়ও সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল।

‘দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো প্রশংসিত হয়েছে সারা বিশ্বে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে এখন বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ত্রাণ নির্ভর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আগাম সতর্কবার্তা প্রচার ব্যবস্থা শুরু করেন।

‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও সম্পদ বাঁচাতে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচারে সিপিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিপিপি’র যাত্রা শুরু করেছিলেন যাঁরা আগাম সতর্কবার্তা প্রচার এবং সন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক-নির্দেশনায় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৭৬ হাজার ২০ জনে উন্নীত হয়েছে।

‘উপকূলে ৫ হাজারের বেশি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর