ময়মনসিংহ সদরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে দা দিয়ে কোপানোর অভিযোগে চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ময়মনসিংহ মুখ্য বিচারিক হাকিমের ১ নম্বর আমলি আদালতে রোববার বিকেলে আসামিদের পাঠানো হয়। বিকেল ৫টার দিকে আদালতের অতিরিক্ত বিচারক আবদুল হাই তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন আদালত পরিদর্শক প্রসূণ কান্তি দাস।
সাজা পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন আজিজুল হক, মো.সারোয়ার, মো. আবুল কালাম ও মো. মঞ্জু।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামে শনিবার সন্ধ্যার দিকে সুমাইয়া খাতুন নামে এক নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তিনি ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাবার বাড়ি চর ভবানীপুর গ্রামে এসেছিলেন সুমাইয়া।
ঘটনার পরপরই সুমাইয়ার বড় ভাই আলী আকবর ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২৩ বছর ধরে জমিজমা নিয়ে একই গ্রামের আলী আকবর এবং আজিজুল হকের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ঘটনায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
বিষয়টি মীমাংসার জন্য শনিবার বিকেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ওই দুই পরিবারের বসার কথা থাকলেও আজিজুল হক ও তার লোকজন রাস্তায় গাছ ফেলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেন।
একপর্যায়ে আজিজুল ও তার লোকজন সন্ধ্যার আগে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আলী আকবরের বাড়িতে হামলা করেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা দিয়ে আলী আকবরের বোন সুমাইয়ার মাথায় আঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত ঘটনায় নারীর ওপর হামলার ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। মেয়েটি এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।’
ওসি জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।