আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ত্যাগী নেতাদের বেছে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
রোববার দুপুরে গাইবান্ধায় এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চাইবে, কিন্তু ত্যাগী নেতা ছাড়া আওয়ামী লীগের নৌকায় কাউকে প্রয়োজন নাই। যারা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেত্রীর পাশে, দলের পাশে ছিল, তাদেরই মূল্যায়ন করা হবে।
‘অন্য দলের অতিথি পাখিরা এখানে ভোট চাইতে আসবে। যখন ভোট চাইতে আসবে, তখন বলতে হবে আপনারা অতিথি পাখির মতো এতদিন পরে কেন! যারা জনগণের মাঝে আছে এবং থাকবে, তাদেরই ভোট দিতে হবে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবার নেত্রীকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে।’
তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ বলে মন্তব্যও করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কারণে আওয়ামী লীগ আজকে গণমানুষের দল হিসেবে পরিণত হয়েছে।
‘আওয়ামী লীগের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত হয়েছেন, অনেক নেতা ভুল করেছেন, অনেক নেতা দলত্যাগ করে চলে গেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনো দ্বিধান্বিত হয়নি, কর্মীরা সব সময় ঐক্যবদ্ধ ছিল, কর্মীরাই দলকে টিকিয়ে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন আমাদের দলে অনেক নেতা দ্বিধান্বিত ছিলেন, অনেক নেতা ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন।
‘অনেক নেতা আপস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় তাদের আন্দোলনে জননেত্রী মুক্তি লাভ করেছিলেন এবং সে কারণে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। ১৩ বছর আগের ভিডিও যদি মিলিয়ে দেখেন, তাহলে আজকের চেহারাগুলো অনেক সুন্দর। ১৩ বছর আগে ছেঁড়া কাপড় পরা, খালি পায়ে মানুষ দেখা যেত, এখন এমনটি পাওয়া যায় না। কুঁড়েঘরও খুঁজে পাওয়া যায় না।
‘এটি শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণেই হয়েছে। দেশে যদি এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে।’