বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশের মানুষের তথ্য থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:১৩

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মত এনপিআর নামে বিশদ এই তথ্যভান্ডার তৈরিতে কাজ করছি। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। ওভারলেপিং (দ্বৈততা) এ ধরনের প্রকল্পে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়। এতে সময় ও রাষ্টের অর্থ অপচয় হয়। এই প্রকল্পে এমন যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। এনপিআরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের তথ্য থাকবে। এ তথ্য যেন বেহাত না হয়, মানুষ যাতে বেকায়দায় না পড়ে সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’

দেশের সব মানুষের জনতাত্ত্বিক ও বায়োমেট্রিক তথ্যসহ একটি বিশদ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ তথ্যভান্ডার তৈরি করছে সরকার। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ (এনপিআর) নামে এই তথ্যভান্ডারে শূন্য থেকে শুরু করে প্রত্যেক বয়সী মানুষের তথ্য থাকবে। এতে একজন মানুষের তথ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে।

রোববার এনইসি সম্মেলন কক্ষে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা প্রথমবারের মত এই কাজটি করছি, সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। ওভারলেপিং (দ্বৈততা) এ ধরনের প্রকল্পে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়। এতে সময় ও রাষ্টের অর্থ অপচয় হয়। জনগণের অর্থের অপচয় হয়। এই প্রকল্পে এমন যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, প্রাইভেসি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সে দিকেও আমাদের নজর রাখতে হবে। এখন এমন সব কোম্পানি গড়ে ওঠেছে যারা আমাদের ঘরের সব খবর জানে। তারা আমাদের তথ্য ব্যবহার করে অনেক পয়সা কামাচ্ছে। এনপিআরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের তথ্য থাকবে। এ তথ্য যেন বেহাত না হয়, মানুষ যাতে বেকায়দায় না পড়ে সেজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ( বিবিএস ) আয়োজিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।

রোববার এনইসি সম্মেলন কক্ষে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: নিউজবাংলা

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘জনশুমারি আর এনপিআর দুটো আলাদা বিষয়। এনপিআরে জনশুমারির চেয়ে আরও বিস্তৃত তথ্য থাকবে। এখানে নাগরিকের ২৯ ধরনের তথ্য জমা থাকবে। সরকার তার নিজের প্রয়োজনে এসব তথ্য ব্যবহার করবে। যাতে যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত খুব সহজে নেয়া যায়। অন্য কারো জন্য এই তথ্য উন্মুক্ত থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘এটি পৃথিবীর অনেক দেশে আছে। ইউরোপের অনেক দেশ এটি অনেক আগে শুরু করেছিলো। এটিকে কেন্দ্র করে নেদারল্যান্ডসে আন্দোলনও হয়েছিলো। আপনারা জানেন সে সব দেশে ব্যক্তিগত তথ্যকে সম্মান করা হয়। আমাদের দেশেও সম্মান করা হবে। কাউকে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য দেয়া হবে না।’

কর্মশালায় জানানো হয়, এনপিআর তৈরির অন্যতম কারণ হলো নাগরিকদের শনাক্ত করা, যার মাধমে নিবাসীদের প্রয়োজনীয় জনতাত্ত্বিক উপাত্তসহ একটি বিস্তৃত পরিচিতি ও তথ্যভান্ডার সৃষ্টি করা। এটি সরকারকে আরও ভালভাবে নীতি প্রণয়ন করতে এবং জাতীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহাযতা করবে। বর্তমানে দেশে ১৮ বছরের বেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয় পত্র রয়েছে, কিন্তু এর নিচে নাগরিকদের কোন তথ্য ভান্ডার নেই।

১৮ বছরের বেশি বয়সের মানুষের পরিচয় পত্র থাকলেও তাদের পারিবারিক ধারা নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। এজন্য এনপিআর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে শূন্য বছর হতে শুরু করে সব বয়সী মানুষের জনতাত্ত্বিক ও বায়োমেট্রিক তথ্য থাকবে, প্রত্যেকের জন্য একটি স্বতন্ত্র শনাক্তকরণ নাম্বার থাকবে, তাদেরকে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। এ তথ্য ভান্ডারের মাধ্যমে সব ধরনের জনমিতি পরিসংখ্যান, আগমন-বহির্গমন, জন্ম-মৃত্যু, বিবাহ-তালাক ইত্যাদির রিয়েল টাইম তথ্য-উপাত্ত থাকবে।

মানুষের মৃত্যুর পর তার তথ্য মুছে ফেলা হবে না ফলে পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে তাদের পূর্বপুরুষরা কারা ছিলেন। এতে ১০ বছর পর পর জনশুমারির মতো বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রয়োজন হবে না।

এ বিভাগের আরো খবর