বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সর্বনিম্ন শনাক্তের হার, মৃত্যু ৪৩

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:২৭

শনাক্তের হার নেমে এসেছে ৫.৬২ শতাংশে, যা গত ১৯৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ৯ মার্চ পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫.১৩ শতাংশ। এরপর কখনও তা এতটা নিচে নামেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার বিপরীতে করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে এবং তা পরপর দুই সপ্তাহ সেখানে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া যায়।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ২২৫ জনে।

শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত এই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৮৩ জনের শরীরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোববারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মৃত্যু এবং শনাক্তের এই সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি হলেও শনাক্তের হার বেশ আশা জাগানিয়া।

আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৫ জনের, আর করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ১৯০ জনের শরীরে। তবে সেদিন পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৬.০৫ শতাংশ।

সেই শনাক্তের হার নেমে এসেছে ৫.৬২ শতাংশে, যা গত ১৯৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত ৯ মার্চ পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৫.১৩ শতাংশ। এরপর কখনও তা এতটা নিচে নামেনি।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে বছরের শেষ দিকে। তবে মার্চ থেকে তা আবার বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, পরীক্ষার বিপরীতে করোনার সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে এবং তা পরপর দুই সপ্তাহ সেখানে থাকলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরে নেয়া যায়।

চলাচলের বিধিনিষেধ এখন কার্যত আর নেই। খুলে দেয়া হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। এখন কেবল উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস শুরুর অপেক্ষা। তার মধ্যেই শনাক্তের হার কমে আসা নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬২৩ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ২২৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী ২১ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি শিশু আছে। বাকিদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ৫, চল্লিশোর্ধ্ব ৩, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১০, ষাটোর্ধ্ব ১০, সত্তরোর্ধ্ব ৯ ও অশীতিপর ৫ জন। বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর চট্টগ্রামে ৮, রাজশাহী ৪, খুলনাতে ৬, সিলেটে ২, রংপুরে ৩ ও ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৮৮৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ১ হাজার ৫৪১ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৩।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত মার্চ থেকে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার মাস পাঁচেক পর পরিস্থিতির উন্নতির চিত্র দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে কমছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। সেই সঙ্গে কমছে শনাক্তের হার।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিল, মে, জুন ও জুলাই মাসে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। একপর্যায়ে তা ৩০ শতাংশও হয়ে যায়। এ অবস্থায় এপ্রিলে লকডাউন ও পরে জুলাইয়ে দেয়া হয় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ। ১১ আগস্ট বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও এরপর থেকে রোগী ও মৃত্যু ধীরে ধীরে কমে আসছে।

এবিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার ক্ষেত্রে আমরা দেখছি সংক্রমণের ধারাটা নিম্নগামী। করোনা যা পরীক্ষা হচ্ছে, গেল এক সপ্তাহ ধরে করোনা শনাক্তের হার ৫ থেকে ৬ শতাংশের ঘরে। তবে এখনই আমরা বলতে পারব না, এটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সংক্রমণ যখন ৫ শতাংশের নিচে আসবে এবং এটা যদি তিন সপ্তাহ পর্যন্ত একইভাবে চলে, তাহলে আমরা বলতে পারি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। তবে আশঙ্কার বিষয়টা অন্য জায়গায়।

প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আবার সংক্রমণ বাড়ছে। আমাদের এখনও দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমার মনে করছি, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসবে। নিয়ন্ত্রণে আসার চার থেকে ছয় সপ্তাহ পরে আবার কিন্তু নতুন ঢেউ আসার আশঙ্কা থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর