নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) উগ্রবাদী মতাদর্শের বই প্রকাশের অভিযোগে হাবিবুর রহমান ওরফে শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)।
শনিবার বিকেল পৌনে ৪টায় রাজধানীর সূত্রাপুরে বাংলাবাজার ইসলামি মার্কেট এলাকার রিহাব পাবলিকেশন্সে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস) আসলাম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অভিযানে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী-২০১৩) এর মামলায় গ্রেপ্তার কাওসার আহাম্মেদ ও জাহিদ মোস্তফার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার বিকেলে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য, আল রিহাব পাবলিকেশন্সের প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মোহনপুরের নিজপাড়ায়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও তার প্রকাশনা সংস্থা থেকে বহু উগ্রপন্থি বই জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া হাবিবুর রহমান ২০১৬ সালে আল রিহাব পাবলিকেশন্স নামে একটি প্রকাশনা সংস্থা চালু করেন। মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর একান্ত সহযোগী ফিরোজ তাকে মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর কিছু বই প্রকাশ করার জন্য দেন। তিনি তার প্রকাশনা থেকে বইগুলো প্রকাশ ও বিক্রি করেন। এই সূত্রে তিনি মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমকে (এবিটি) সমর্থন করা শুরু করেন। বই প্রকাশনার সূত্রে এবিটির কতিপয় সংগঠকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
পুলিশ সুপার আসলাম খান বলেন, গ্রেপ্তার হাবিবুর রহমান এবিটি সদস্য ও অন্য অনুসারীদের কাছে মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর উগ্রবাদী বই ছাড়াও উগ্রপন্থি বই গাজওয়াতুল হিন্দ, জেগে ওঠো হে উম্মাহ, সত্যের সন্ধানে হে যুবক, দাজ্জাল আসছে সতর্ক হও, গণতন্ত্রের অসারতা ও ধ্বংসলীলাসহ অন্যান্য উগ্রপন্থি বই প্রকাশনা, সরবরাহ, বিতরণ ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গোপনে বিক্রি করতেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের উগ্র মতাদর্শের বিভিন্ন প্রিন্টেড ও ভিডিও কন্টেন্ট সমর্থকদের সঙ্গে শেয়ার করে আসছিলেন।
বই বিক্রির পাশাপাশি সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, জনমনে ত্রাস, ভীতি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করার লক্ষ্যে পরিকল্পনা ও উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করার পাশাপাশি তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।