রাজারবাগ দরবার শরিফের সব সম্পদের বিষয়ে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
সেই সঙ্গে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা তদন্ত করতে বলা হয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটকে।
একই সঙ্গে রিটকারীদের বিরুদ্ধে মামলাগুলো হয়রানিমূলক কি না, সেটা তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এসব তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
গায়েবি মামলা দিয়ে অযথা মানুষকে হয়রানির অভিযোগে রাজারবাগ দরবার শরিফের পির দিল্লুর রহমান ও তার মুরিদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন ৮ জন ভুক্তভোগী।
রিটে তাদের সম্পত্তি এবং ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এর আগে অন্যের জায়গা-জমি দখলের জন্য রাজারবাগ দরবার শরিফের পিরের কাণ্ড নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। মুরিদদের দিয়ে নিরীহ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৪৯টি মামলা দেয়ার ঘটনায় সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট দেখে আদালত এ বিস্ময় প্রকাশ করে।
ওই দিন হাইকোর্ট বলেছিল, ‘পির সাহেবের কাণ্ড দেখেন। জায়গা-জমি দখলের জন্য পির সাহেবরা তাদের অনুসারী-মুরিদ দিয়ে কী করে দেখেন। যেখানে একটা মামলা দিলেই একজন মানুষের জীবন শেষ হয়ে যায়, সেখানে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এত মামলা! এটাতো সিরিয়াস ব্যাপার।’