কুমিল্লার হোমনায় বিয়েবাড়িতে ছবি তোলা নিয়ে হট্টগোলের জেরে দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে তিন দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সবশেষ রোববারের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১০ জন।
হোমনার ঘারমোড়া বাজারে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার সবশেষ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ।
তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই গ্রামেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাতে ওসি জানান, উপজেলার বড় ঘারমোড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে একটি গায়েহলুদ আয়োজনে যোগ দেয় পাশের হুজুরকান্দি গ্রামের রাসেল, ইমরান, অন্তরসহ ৮ থেকে ৯ যুবক। তারা অনুমতি না নিয়ে মোবাইল ফোনে বিয়েবাড়ির কয়েক তরুণীর ছবি তুলতে থাকেন।
বড় ঘারমোড়া গ্রামের আউয়াল মিয়াসহ কয়েকজন ছবিগুলো ফোন থেকে ডিলিট করতে বললে এ নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়ায় ওই যুবকরা। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়।
ওসি আরও জানান, ওই রাতে ঘটনা সেখানে শেষ হয়ে গেলেও শনিবার সকালে আউয়াল বড় ঘারমোড়া গ্রামের বাজারে গেলে তাকে মারধর করেন হুজুরকান্দি গ্রামের ওই যুবকরা। ওই ঘটনায় আওয়ালের ভাই জাহাঙ্গীর আলম শনিবার রাতেই হুজুরকান্দি গ্রামের ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
রাতেই পুলিশ হুজুরকান্দি গ্রামের বকুল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
ওসি বলেন, সেই উত্তেজনার জেরেই রোববার সকালে দুই গ্রামের লোকজন আবারও ঘারমোড়া বাজারে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় আহত হন রাজিব মিয়া, শাহ আলম, জিলানী, অজিত, নজরুল মিয়া, কবির হোসেন, ইকবাল মিয়া, আশাবুদ্দিন, ইকবাল হোসেন ও কেটা মিয়া। কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন কয়েকজন।
ঘারমোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মোল্লা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানের ওই গন্ডগোল মিটমাট করতে আজ (রোববার) আমরা বাজারে বসেছিলাম। সেখানে হুজুরকান্দি ও ঘারমোড়া গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
‘পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার থানায় খবর দেই। পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে।’
পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্পিতা রানী প্রামাণিক বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনায় এমন কাণ্ড। আমরা সতর্ক রয়েছি। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনাগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’