বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাক্সে বাক্সে ঝিঙে-কুমড়া

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৮:৫৬

কৃষি কর্মকর্তা শাহিদা খাতুন বলেন, ‘বাসায় যাদের নিজস্ব ছাদ আছে তারা এখন বাক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও হচ্ছে।’

বাড়ির ছাদের পুরোটা জুড়েই মাচা। তাতে ঝুলছে ঝিঙে। মাচার উপরে হলুদ ফুলে উড়ছে ভ্রমর আর মৌমাছি।

এটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কুন্দরঘোড়া গ্রামের আবু সাঈদের বাড়ির ছাদ। সেখানে বাক্স পদ্ধতিতে ঝিঙের পাশাপাশি মিষ্টি কুমড়া, শিম ও লাউ চাষও করছেন তিনি; জানালেন ফলনও চমৎকার।

আবু সাঈদরা তিন ভাই। বড় ভাই থাকেন ইস্তাম্বুলে ও ছোটজন স্পেনে। সাঈদ থাকেন বেলারুশে।

বছরের বিভিন্ন সময় পালা করে তারা দেশে আসেন। কৃষির প্রতি সব ভাইয়েরই আছে ঝোঁক। যে যখন বাড়িতে থাকেন, বাড়ির ছাদ বাগানের পরিচর্যা করেন। এখন দেশে আছেন সাঈদ, নিউজবাংলার সঙ্গে ছাদবাগান নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আবু সাঈদ বলেন, ‘গত দুই বছর আগে বাসার ছাদে কাঠ দিয়ে বাক্স বানিয়েছি। সেখানে প্রথমে মিষ্টি কুমড়া চাষ করি। প্রচুর মিষ্টি কুমড়া হয়; আমার উৎসাহ বাড়ে। পরে ইস্তাম্বুল ও স্পেন থেকে আমার বড় ও ছোট ভাই আসে। তারাও কাজ শুরু করে।’

সাঈদ জানান, মাসখানেক আগে ছাদে দেড় ফুট উঁচুতে কাঠের বাক্স তৈরি করেন। জৈব সার দিয়ে মাটি তৈরি করে তাতে রোপন করেন ঝিঙের ৩৫টি বীজ।

তিনি বলেন, ‘মাত্র এক মাসেই ছাদ বাগান থেকে দেড় মণ ঝিঙে পেয়েছি। তার মধ্যে ৩০ কেজি আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়েছি। বাকি ৩০ কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি।’

শীতকালীন বিভিন্ন সবজিও চাষ করেছেন তারা তিন ভাই মিলে।

সাঈদ বলেন, ‘দুই বছর আগে চিন্তা করি, বাসার খালি ছাদটাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়। সেই চিন্তা থেকে কাজ শুরু করি। কাঠ দিয়ে বাক্স তৈরি করি। তারপর নানা জাতের সবজির চাষ করি। এ কাজে বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।’

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহিদা খাতুন জানান, প্রবাসী আবু সাঈদ একজন কৃষি উদ্যোক্তা। তাকে উৎসাহিত করতে উন্নত জাতের ঝিঙের বীজ দেয়া হয়েছে। পরামর্শ নিয়ে চাষে ভালো ফলন পেয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘যাদের বাসায় ছাদ রয়েছে তারা এখন বাক্স পদ্ধতিতে সবজি চাষে উৎসাহিত হচ্ছে। এতে করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয়ও হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর