জয়পুরহাট সদরের ছোট যমুনা নদীর মাধবঘাট দিয়ে পারাপার হয় দুই পারের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ। অথচ এ ঘাটে রয়েছে মাত্র একটি খেয়া নৌকা, যা আবার সব সময় চলে না।
সদর উপজেলার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের বুধইল গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নদীটি। এ নদীর মাধবঘাট থেকে জয়পুরহাট শহরের দূরত্ব ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার। সড়ক পথে গেলে ঘুরতে হয় ১৪ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
নদীর এক পাশে জয়পুরহাট সদরের মোহাম্মদাবাদ, ধলাহার ও দোগাছী ইউনিয়ন, অন্য পাশে পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ও আয়মারসুলপুর ইউনিয়ন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা বারবার সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। আর কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় লোকজন এত দিন সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য কিছু বলেনি।
নামা বুধইল গ্রামের বিকাশ চন্দ্র জানান, তিনি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছেন এখানে একটি সেতু হবে, হচ্ছে করে আজও হয়নি। তাদের বাপ-দাদারাও তা-ই শুনেছেন।
উঁচা বুধইল গ্রামের হাসানুজ্জামান আলম জানান, বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়লে এলাকার মানুষ পড়ে চরম ভোগান্তিতে। এ ছাড়া প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী এই ছোট নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। তারাও চায় স্কুলে যাতায়াতের জন্য দ্রুত সেতুটি নির্মাণ হোক।
বুধইল গ্রামের কলেজ শিক্ষার্থী দৃষ্টি রানী জানায়, সে জয়পুরহাট শহরসহ মাধবঘাটের দুই পাশের বেশ কয়েকটি স্কুলে লেখাপড়া করছে। সেতু তো নেই, সব সময় নৌকাও পাওয়া যায় না।
মোহাম্মদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান জানান, জরুরি সময় বিকল্প পথে অনেক রাস্তা ঘুরে শহরে যাওয়া বেশ কষ্টদায়ক রোগী ও প্রসূতিদের জন্য। এ ছাড়া একটি নৌকা থাকায় সময়মতো ব্যাবসায়িক ও কৃষিপণ্য বাজারে নেয়াও সম্ভব হয়ে ওঠে না।
আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহেদুল আলম বেনু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সেতুটি নির্মিত হলে এ অঞ্চলের মানুষ ১৫ কিলোমিটার রাস্তার বদলে মাত্র ৩ কিলোমিটার রাস্তা পার হয়ে শহরে যেতে পারবেন। রোগী, শিক্ষার্থীদের সুবিধার পাশাপাশি কৃষি ও ব্যবসার সুবিধাসহ সব মানুষই উপকৃত হবেন।’
সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন বলেও জানান তিনি।
জয়পুরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘নদীটির দুই পাশে দুই উপজেলার অনেক বাসিন্দা। স্থানীয় এলজিইডি জনগণের সেতুর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে। তাই স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে পরামর্শ করে সেতুটির প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’