সরকারি সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার তিনি দেশে ফিরেছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরে মার্কিন সেনাবাহিনী এবং পাপুয়া নিউ গিনি ডিফেন্স ফোর্সের যৌথ আয়োজন ‘ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্স’-এ অংশগ্রহণ করেন সেনাপ্রধান।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের এই কনফারেন্সের প্রথম দিন তিনি যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ২৫তম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের সক্ষমতা এবং দেশটির আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড পরিচালিত একটি লাইভ ফায়ার মহড়া দেখেন।
দ্বিতীয় দিনে ‘দ্য চ্যাঞ্জিং ফিজিক্যাল এনভায়রনমেন্ট অফ ল্যান্ড অপারেশন্স’ এবং ‘দ্য ইভলভিং হিউম্যান এনভায়রনমেন্ট অফ ল্যান্ড অপারেশন্স’ শীর্ষক দুটি প্ল্যানারি সেশনে অংশ নেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। প্ল্যানারি সেশনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল জেমস মেকনভিল স্বাগত ভাষণ রাখেন।
কনফারেন্সের শেষ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডিং জেনারেল, জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন সেনাপ্রধান।
এ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আন্দিকা পেরকাসা, দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাম ইয়ং শিন, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার ইন চিফ অফ রয়্যাল থাই আর্মি জেনারেল পর্নসাক পুলসাওয়াদ, পাপুয়া নিউগিনি ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ডার মেজর জেনারেল গিলবার্ট টরোপো, কমান্ডার মঙ্গোলিয়ান ল্যান্ড ফোর্স কমান্ড মেজর জেনারেল বুজিনভ আমগালানবাটার, সিঙ্গাপুর আর্মির চিফ অব স্টাফ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রেডেরিক চো এবং মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের কমান্ড্যান্ট সার্ভিস কোরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদ শাফিকের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে এসব দেশের সেনাবাহিনীর পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাপ্রধানের এই সফরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলো এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।